পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sbr ভারতবর্ষ •

  • এই লিপিতে “সত্যেরাকা’ নামক মন্ত্রীর দানের বিষয় উল্লিখিত । তিনি কোনও রাণীর মন্ত্রী ছিলেন। সে রাণীর নাম এখন বিলুপ্ত। কিন্তু তিনি বশিষ্ঠপুত্ৰ শ্ৰীসাতকর্ণর সহধৰ্ম্মিণী এবং রুদ্রনামা মহাক্ষত্রপের কন্যা বলিয়া অভিহিত। শ্ৰীসাতকৰ্ণি-সাতবাহন বংশসম্ভত ছিলেন। ডক্টর বুলারের মতে, লিপি-উদ্ধত রুদ্রই এই রুদ্ৰদমন রাজা। এই লিপির আলোচনায় সপ্রমাণ হয়,-খত রাত ক্ষত্রপ-বংশের নিৰ্ম্মলকারী গৌতমীপুত্ৰ সাতকৰ্ণির দ্বিতীয় পুত্র, সাতবাহন-বংশসম্ভত বসিষ্ঠীপুত্ৰ শ্ৰীসাতকিৰ্ণ মহাক্ষত্রপ রুদ্রমনের কন্যাকে বিবাহ করিয়াছিলেন ।

নাসিকের একটী গিরিগুহায় বিষ্ণুদত্তের কীৰ্ত্তিকাহিনী পরিবর্ণিত। তাহার বিবিধ দানের মধ্যে পীড়িতদিগের চিকিৎসার জন্য স্থায়ী দানের পরিচয় পাওয়া যায়। নাসিকের গিরিগুহাঙ্কিত সেই লিপিটী প্ৰথমে উদ্ধত করিতেছি ; যথা,- “ • • • • • •শকাগ্নিবৰ্ম্মণ: দুহিত্র গণপকস্ত রোভিলস্য ভাৰ্য্যয়া গণপািকস্ত বিশ্ববমস্ত মাত্রা শকনিকায়া উপাসিকয়া বিষ্ণুদত্তায় গিলানভেষজার্থং অক্ষয়নীবিপ্লযুক্ত ॥” কথিত হয়,-ঈশ্বরসেন নামক জনৈক রাজার রাজত্বকালে এই লিপি উৎকীর্ণ হইয়াছিল। বিষ্ণুদত্ত—“উপাসিকা’ বলিয়া লিপিতে পরিকীৰ্ত্তিত। তিনি বৌদ্ধধৰ্ম্মের উপাসিক ছিলেন। পণ্ডিতগণ বলেন,-তিনি শক জাতীয় অগ্নিবৰ্ম্মণের কন্যা । ‘সাকানিক” নামেও তিনি অভিহিত হইতেন। সুতরাং পিতা ও কন্যা উভয়েই যে শকজাতীয় ছিলেন, তদ্বিষয়ে সন্দেহ নাই। বিষ্ণুদত্তের পিতাকে ‘শক অগ্নিবৰ্ম্মণ’ বলা হইয়াছে। নাম হইতে তিনি ক্ষত্ৰিয় ভিন্ন অন্য কিছুই উপপন্ন হন না। শকের ন্যায় গণপকও একটা জাতীয় সংজ্ঞাবিশেষ । গণপক ভারতীয় কি বৈদেশিক নাম, তদ্বিষয়ে সন্দেহ উপস্থিত হয়। তবে একটী বিষয় এখানে বিচার করিবার আছে। বিষ্ণুদত্ত শকের কন্যা; বিবাহ হইল তাহার গণপকের সহিত। তথাপি তিনি “শাকানিক” বলিয়া অভিহিত হন কেন ? * ইহার কারণ এই যে, পূর্বকালে এমন কি বৰ্ত্তমানকালেও রাজপত্নীগণ পিতৃকুলের উপাধি-ভূষণে ভূষিত হইতেন। এখনও কোনও কোনও রাজপুত-বংশে এ দৃষ্টান্ত দেখিতে পাওয়া যায়। 事 আভীরগণ । শকদিগের সমসময়ে “আভির” নামক আর এক বৈদেশিক জাতি ভারতে প্ৰবেশ করে। ভারতের বিভিন্ন স্থান লুণ্ঠন করিয়া, তাহারা ভারতে বসতি স্থাপন করিয়াছিল। যুক্ত প্রদেশে “অরউরা” নামে একটী পল্লী পরিদৃষ্ট হয়। সংস্কৃত-ভাষায় ঐ স্থান “আভিরাবাটিক” নামে উল্লিখিত। আবার ঝাক্ষসীর সন্নিকটে ‘আহিরওয়ার’ নামে আর এক স্থানের উল্লেখ আছে। প্রত্নতত্ত্ববিদগণ অনুমান করেন,-“আতির’ বা “আহিরগণ” সেই সকল স্থানে বসতি স্থাপন sy | Arçhaeological Survey of in dia, Vol. vi, p. 78