পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৩৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ტ8ხის ভারতৃবর্ষ। दछ-विख८अद्म नडाड नेिक्रo० । বাল্যকাল হইতেই আমরা শুনিয়া আসিতেছি, মুসলমান ঐতিহাসিকও বলিয়াছেন,-মাত্র সপ্তদশ জন অশ্বারোহী সৈন্য লইয়া ব্যক্তিয়ার খিলিজি বাঙ্গালা দেশ জয় করিয়াছিলেন । তখন লক্ষ্মণসেন নদীয়ার সিংহাসনে অধিষ্ঠিত। তিনি মুসলমানের আগমনে প্রাণভয়ে পলায়ন করেন, বিক্তিয়ার নদীয়া অধিকার করে । কিন্তু মুসলমান ঐতিহাসিকের উক্তিতে এবং জনপ্রবাদে কি সত্য নিহিত আছে, তাহা নির্ণয় করিবার অল্প প্ৰয়াসই হইয়াছে। আধুনিক প্রত্নতত্ত্ববিদগণ এতদুক্তির যথার্থ্য নির্ণয়ের কতকটা প্ৰয়াস পাইয়াছেন এবং একটা সিদ্ধান্তও উপনীত হইয়াছেন। মুসলমান ঐতিহাসিকের বর্ণনায় এবং জনপ্রবাদ মূলে নদীয় রাজধানীর বিষয় উল্লিখিত আছে। কিন্তু নদীয়ায় যে সেনবংশের রাজধানী ছিল, ঐতিহাসিক সত্যতামূলক তাহার কোনও বিশিষ্ট প্রমাণ আজি পৰ্য্যন্ত পাওয়া যায় নাই। ব্যক্তিয়ার বা তঁাহাব পুত্ৰ কোন পথে নদীয়ার রাজধানীতে আগমন করেন, তাহারও কোনও নির্ঘণ্টা আজি পৰ্যন্ত নিৰ্ণীত হয় নাই। এক শ্রেণীর পণ্ডিতগণ তাই বলিয়া থাকেন,-“নদীয়াই যদি লক্ষ্মণসেনের রাজধানী হয়, তাহা হইলে মহম্মদ ব্যক্তিয়ারকে বিহার হইতে নদীয়ায় আসিতে হয়। সুতরাং নদীয়ায় আসিতে তেঁাহাকে নিশ্চয়ই গৌড়-রাজধানী অধিকার কবিতে হইয়াছিল । রাজমহলের পথেই যদি তিনি আসিয়া থাকেন, তাহা হইলে সেই পথে গৌড় অতিক্রম করিতে র্তাহার বহুসংখ্যক সৈন্যের আবশ্যক হইয়াছিল। ঝাড়খণ্ডের বন্ধুর পার্বত্য-পথ অতিক্রম করা, সপ্তদশ জন BDBDD KB BBDD DBBBBD SDBD DDS তার পথ, আক্রমণ-কারীর নাম লষ্টয়াও গোল দেখিতে পাই। সপ্তদশ অশ্বারোহী লইয়া ব্যক্তিয়ারেব নদীয়া দখলব বিষয়ই জন প্ৰবাদ মূলে প্ৰচালিত ; কিন্তু মুসলমান ঐতিহাসিকের মত অন্য ৰূপ । তিনি বলেন,-লক্তিয়ারের পুত্ৰ মহম্মদই সেই অভিযানের নেতা । এইরূপ বিরোধ-ক্ষেত্রে, ঐতিহাসিক প্রমাণে কি প্ৰতিপন্ন হয়, তাহাই অনুসন্ধান করা প্রয়োজন । প্রকৃতপক্ষে লক্ষ্মণসেনের জীবিতকালে মুসলমানগণ র্তাহার রাজধানী অধিকার করিয়াছিলেন কিনা-প্ৰথমে তাহাই নির্ণয় করিতে হয়। এ সম্বন্ধে নানা মতান্তর আছে। প্ৰথম মতান্তর-কাল নির্দেশ লইয়া। বল্লালসেনের কালনির্ণয়েই প্রত্নতত্ত্বানুসন্ধিৎসুগণের গবেষণা পৰ্ব্যদন্ত হয়। যদি তাহার কালেরই কোনও নির্ঘণ্ট না মিলিল, পরবর্তী নৃপতিগণের কাল যে নিশ্চয়রূপে নিৰ্ণীত হওয়া সম্ভব নহে,-সাধারণ-দৃষ্টিতেই তাহা উপলব্ধ হয়। লক্ষ্মণসেন একজন বীরপুরুষ ছিলেন। কলিঙ্গ এবং মগধ প্রভৃতি বিজয়ী লুক্ষ্মণসেন, মুষ্টিমেয় মুসলমান-সেনার ভয়ে সৰ্ব্বস্ব পরিত্যাগ করিরা পলায়ন করিবেন,-কোনক্রমেই তাহা বিশ্বাস করিতে পারি না । সুতরাং মনে হয়,-মুসলমান ঐতিহাসিকের উক্তির মধ্যে কোনও গুঢ় রহস্য নিহিত আছে। বাঙ্গালীকে ভীরু প্ৰতিপন্ন করিবার জন্য সকলেই প্ৰয়াস পাইয়া থাকেন। তাই লক্ষ্মসেনের চরিত্র মসীমণ্ডিত করিয়া, বঙ্গবাসীকে জগতের নিকট হেয় প্রতিপন্ন করিবার প্রয়াস ভিন্ন ইহাকে আর কি বলিতে পারি ? সীতারাম, প্রতাপাদিত্য, মােহনলাল প্রভৃতি বাঙ্গালী বীরত্বের