পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆస్ట్రీ ভারতবর্ষ । বীরের বহু বীরত্ব-কাহিনী প্রচারিত আছে। মুসলমানগণের মধ্যেও বঙ্গদেশবাসী বাঙ্গালীর সংখ্যা অল্প ছিল না। র্তাহাদের বাহুবলে রাজ্য-সীমা বৃদ্ধি ও রাজ্য-রক্ষা-বাঙ্গালীরই বীরত্বের পরিচয় । হিন্দুর মধ্যেও সে সময়ে বীরের অভাব ছিল না। মুসলমান-নৃপতিগণের পক্ষ অবলম্বনে যে সকল বাঙ্গালী-বীর যুদ্ধ করিয়াছিলেন, তাহাদের বীরত্ব-কাহিনী অনেকেই অবগত আছেন। আবার প্রবল-প্রতাপ মোগল-সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করিয়া, প্রতাপাদিত্য প্রমুখ বীরগণ যে বিপুল বাহু-বলের পরিচয় দিয়াছিলেন, ইতিহাস সে সাক্ষ্য চিরদিন প্রদান করিবে। সীতারাম রায় প্রভৃতির বীরত্ব-কাহিনীর বিষয় স্মরণ করিলেও বিস্ময়ান্বিত হইতে হয় । বঙ্গদেশ অধিকার করিয়া ইংরেজ যখন অন্যান্ত প্রদেশে আপনাদের বিজয়-পতাকা উড্ডীন করিতে প্রযত্নপর হইলেন, ইংরেজের সহায়তা-কল্পে তখনই কি বাঙ্গালী অল্প বাহুবলের পরিচয় দিয়াছিল ? সুদুর ব্রাজিলে গিয়া সেনাপতি-পদে সমাসীন থাকিয়া, বাঙ্গালী বীর কর্ণেল সুরেশচন্দ্র সেদিনও পাশ্চাত্য-জগৎকে বিমুগ্ধ করিয়াছেন। অধিক দৃষ্টান্ত বাহুল্য মাত্র। ফলতঃ, বিবিধ প্রকারেই প্রতিপন্ন হয়, বঙ্গদেশ কখনই শৌর্য্যবীৰ্য্যহীন ছিল না। জ্ঞানের গৌরবে, বিদ্যার বিভবে, বঙ্গদেশ চিরদিনই সন্মানের উচ্চ-চুড়ায় সমারূঢ় । যে জ্ঞানালোক যখনই জগতে বিচ্ছুরিত হইয়াছে, বঙ্গদেশে তখনই তাহার ঔজ্জ্বল্য লক্ষ্য ear ahaব করিয়াছি। ধর্মের মধ্যেই জ্ঞানের বিকাশ। ধৰ্ম্মের যে ভাব যখনই \g পরিস্ফুট হইয়াছে, বঙ্গদেশে তখনই সে ভাব প্রকট দেখিয়াছি। কল্পনার বিদ্যার বিভব । দুরধিগম্য কালে প্রচারিত শাস্ত্র-গ্রন্থাদির উৎপত্তি-স্থান-নির্ণয়ে প্রয়াস বিফল বটে ; কিন্তু শাস্ত্রের ব্যাখ্যায় ও টীকায় বঙ্গদেশ যে গুণপন দেখাইয়া আসিয়াছে, তাহার তুলনা নাই। প্রসঙ্গতঃ দুইটা দৃষ্টান্তের উল্লেখ করিতেছি। ন্যায়-শাস্ত্রের আলোচনায় বাদালার স্থান অদ্বিতীয়। নব্য-ন্যায়—নবদ্বীপের নিজস্ব সম্পত্তি বলিলেও অত্যুক্তি হয় না।* স্থায়-দর্শনের যে সকল টীকাকার প্রতিষ্ঠাপন্ন হইয়াছেন, র্তাহাদের অধিকাংশই বঙ্গদেশবাসী । স্মৃতি-শাস্ত্রেও বঙ্গদেশের প্রতিষ্ঠার অবধি নাই। স্মৃতিশাস্ত্র-সম্বন্ধে স্মাৰ্ত্ত রঘুনন্দন বঙ্গদেশে যুগান্তর উপস্থিত করিয়া গিয়াছেন। র্তাহারই অনুশাসন মান্ত করিয়৷ আজিও হিন্দু-সমাজ পরিচালিত হইতেছে। ধৰ্ম্মপ্রচারক-রূপে, শিক্ষক-রূপে, নীতি-শাস্ত্র ধৰ্ম্ম-শাস্ত্র প্রভৃতি বিবিধ সদ্‌গ্রন্থ প্রণয়নে বাঙ্গণীর ষশ চিরকালই উজ্জ্বল ছিল । অতীতের গভীর অন্ধকারের মধ্য হইতে ইতিহাসের যে জালোক-রশ্মি বিচ্ছুরিত দেখি, তাহাতে শিক্ষাপ্রচার-কার্ষ্যে বাঙ্গালী উচ্চস্থান অধিকার করিয়া আছে-দেখিতে পাই। প্রাচীন-ভারতে যে সকল প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব সপ্রমাণ হয়, তাহার অনেক স্থলেই বাঙ্গালীর প্রাধান্ত ছিল । মুসলমানগণের বঙ্গদেশ অধিকারের পূর্বে, গৌড়াধিপতিগণের রাজত্বকালে, নবদ্বীপের উচ্চ-সমৃদ্ধির দিনে, নবদ্বীপ যে শিক্ষার কেন্দ্রস্থান ছিল, তাহ বলাই বাহুল্য। নবদ্বীপের পতনের পর, ভারতে বৌদ্ধ-প্রভাবকালে, নালন্দার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাপন্ন হয়। . কিন্তু ঐ বিশ্ববিদ্যালয়েও DDSDBB BBB BBBBB BBDD BBBS BDD BBB DDD BBBB BBBB BBBS