পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৭৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ । و سس، سس مس সাহিত্যে স্ত্রীচৈতন্যের প্রভাব । SBBSBBB BBB BBBB B BB BBBB BBSBBBSBBB BDD DDBBB BBD DD S ZYYBB BBBBB BBBB BBBB BBSBBB BBB BBS DDDS DBB BDDD BBB শেষ স্তর –সংস্কৃত ভাষায় বৈষ্ণবাচার্যগণ ;– হাপ্রভুর নবধৰ্ম্মে নবজীবন সঞ্চার । ] সময়ে সময়ে সংসারের দিকে স্বৰ্গ হইতে আলোক-রশ্মি বিচ্ছুরিত হয় । সে আলোকে সংসারের অন্ধ-তামস দূর হইয়া যায় ;–যেন নবারুণ কিরণে উদ্ভাসিত হইয়া প্রকৃতি পুলক-প্রফুল্প হয় । সংসারে মহাপুরুষগণের আবির্ভাব,—স্বর্গের সেই আলোক-রশ্মি । র্তাহীদের শুভাগমনে সংসারে অভিনব আনন্দের হিল্লোল প্রবাহিত হয় ; সে হিল্লোলে, দিকে দিকে অভিনব ভাবকুসুম ফুটিয়া উঠে,—আর সে কুসুমের স্ববাস-সৌরভে ভূত-ভবিষ্য-বৰ্ত্তমান ত্রিকাল আমোদিত করিয়া রাখে । পুণ্যভূমি ভারতে, পাপীর উদ্ধারের জন্য, যুগে যুগে ভগবান কি খেলাই খেলিয়া আসিতেছেন । তিনিও নরদেহ ধারণ করিয়া আৰিভূত হইয়াছেন ; সঙ্গে সঙ্গে নবীন আলোকে দিক পরিপূর্ণ হইয়াছে। সে আলোকে, সমাজের কত কলুষ-কলঙ্ক দূরে সরিয়া গিয়াছে –সে প্রভাবে, পাপ-প্রবৃত্তি বিমৰ্দ্দিত হইয়া প্রাণে কত ধৰ্ম্মভাবের বিকাশ পাইয়াছে! কোন দিকে—কোথায় না তাহার সে লীলা প্রত্যক্ষীভূত ! ঐ যে সাহিত্য-কাননে অনুপম কুসুম-সম্ভারে শোভার ছটা বিকশিত, ঐ যে মলয়-সমীরে মৃদুল হিল্লোলে সোঁ রভ-সুষমায় দিক আমোদিত উল্লসিত, তাহার মূলতত্ত্ব কি ? ধরণীর পাপভার হরণ জন্য ত্রীরামচন্দ্র আবিভূত হইলেন ; র্তাহার পাদমূলে রামায়ণ-রূপ কল্প-পাদপের উদ্ভব হইল। অধৰ্ম্মের অভু্যত্থানে ধৰ্ম্মের গ্লানি উপস্থিত হইয়াছে দেখিয়া, দুষ্কৃতনাশের জন্ত—ধৰ্ম্ম-সংস্থাপনের উদ্দেন্তে, শ্ৰীকৃষ্ণচন্দ্রের উদয় হইল ; সঙ্গে সঙ্গে মহাভারত-রূপ রত্নভাণ্ডার প্রকাশ পাইল ; ভগবদগীত, শ্ৰীমদ্ভাগবত প্রভৃতি সাহিত্য-সংসারের কোহিনুরমণি-সমূহ সংসার প্রাপ্ত হইল। এইরূপ, জৈন-তীর্থঙ্করগণের পদরেণুরূপ পরশমণি ম্পর্শে কত অয়ুস কাঞ্চনে পরিণত হইয়াছিল । অহিংসা পরমেধিৰ্ম্মরূপ ব্ৰত শিক্ষাদানের জন্য বোধিসত্ত্ব বুদ্ধদেবের আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে কত কুমুমই প্রস্ফুটিত হইয়া সৌরভ বিতরণ করিয়াছিল! শঙ্করাবতার শঙ্করাচাৰ্য্য শিবোহহং বাণী ঘোষণা করিয়া কি অমূল্য জ্ঞানরস্তুই দিকে দিকে বিকীর্ণ করিয়া গেলেন । সাহিত্যের ইতিহাসের এ সকল এক একটা অক্ষয় অনন্ত সুবর্ণ স্তর । সে স্তরের শেষ নিদর্শন—পতিতপাবন শ্রীচৈতন্যচন্দ্রের কলিকলুবনাশন নামসঙ্কীৰ্ত্তন। সংস্কৃত-সাহিত্যের বিকাশের ষে সকল স্তর পরিদৃষ্ট হয়, ইহাই শেষ স্তর-সৰ্ব্বাপেক্ষা আধুনিক। প্রাকৃত, পালি প্রভৃতি বিভিন্ন ভাষার প্রতিঘাত সন্থ করিয়া, বিষম প্রতিবন্ধক-পরম্পর উল্লঙ্গন করিয়া, চৈতন্যদেবের আবির্ভাব-কালে সংস্কৃতসাহিত্য এক অভিনব জ্যোতিঃ প্রকাশ করিয়াছিল। সংস্কৃত সাহিত্যে সে এক নবজীবন স্বর্গের আলোক-রশ্মি |