পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - দ্বিতীয় খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S (8 ভারতবর্ষ। মধ্যে পরিগণিত হইত ; অধিবাসিগণ বিনয়ী ও সরল প্ৰকৃতি ছিল ; তাহারা ধৰ্ম্মের সন্মাননা করিত, বিদ্যার উৎসাহ দিত, বহুমূল্য ও জাকজমকশালী উজ্জ্বল রেশমনিৰ্ম্মিত পোষাক ব্যবহার করিত। তাহারা ধৰ্ম্মপরায়ণ, অমায়িক এবং বৌদ্ধধৰ্ম্মে বিশ্বাসাবান ছিল। তবে ঐ সময়ে সঙ্ঘারামসমূহ ক্ৰমেই শূন্য হইয়া আসিতেছিল, ধৰ্ম্মযাজকগণের সংখ্যা ক্রমেই কমিতে আরম্ভ হইয়াছিল। হুয়েন-সাং-কথিত পরিমাণাদির বর্ণনা হইতে BDBBD BDB BB BDD DB DDD DDSS BDD DBD S i DBDBBB মধ্যেই যে ঐ রাজ্য নিবন্ধ ছিল, তাহা নহে ; আগরা অতিক্রম করিয়া দক্ষিণে মাড়োয়ার ও শিবপুরী এবং সিন্ধুনদের পূর্ব তীর পর্যন্ত উহার সীমানু বিস্তৃত ছিল। তাহ। হইলে বৰ্ত্তমান মথুরা জেলা, ভরতপুর, ক্ষীরা গুলি, ঢোলপুর এবং গোয়ালিয়ার রাজ্যের উত্তরাদ্ধাংশও মথুরার অন্তৰ্ভুক্ত থাকা সম্ভবপর। - উহার পূর্ব সীমানায়ু তাৎকালিক জিজহাওতি (Jihaoti ) অর্থাৎ আধুনিক বুন্দেলখণ্ড প্রদেশ এবং দক্ষিণে মালব-রাজ্য অবস্থিত ছিল। শেষোক্ত দুই রাজ্যকে স্বতন্ত্র রাজ্য বলিয়া হুয়েন-সাং নির্দেশ করিয়াছেন। ভারতবর্ষে শকদিগের প্রাদুর্ভাব-কালে, খৃষ্ট জন্মের দুই শত বৎসর পুর্বে, শকগণ * মথুরা ও মহারাষ্ট্র পৰ্যন্ত আপনাদের আধিপত্য বিস্তার করিয়াছিল। শাক-জাতীয় রাজা কণিকের এবং তাহার বংশধরগণের শাসন-কালে মথুরায় তাহাদের གག་ “প্ৰতিনিধি-শাসনকৰ্ত্ত অবস্থিতি করিতেন। রাজা কনিষ্ক ৭৮ খৃষ্টাব্দে “পুরুষপুর’ ( বর্তমান পেশোয়ার ) নগরে সিংহাসনে আরোহণ করেন। তাহার সিংহাসনারোহণ সময় হইতে ‘শক’ নামক বর্ষাব্দ গণনা প্ৰবৰ্ত্তিত হয়। সেই সময়ে ভারতবর্ষে শকগণের এতই প্ৰতিপত্তি হইয়াছিল যে, তঁহাদের প্রবর্তিত শকাব্দ আজিও ভারতবর্ষের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে প্ৰচলিত রহিয়াছে। রাজা কনিষ্ক বৌদ্ধধৰ্ম্মের একজন প্ৰধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ভারতবর্ষের ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে এবং দেশ-বিদেশে (চীন, তাতার, তিববত ও উত্তর এসিয়ার বহু স্থানে)। ধৰ্ম্মপ্রচারক প্রেরণ করিয়া তদেশবাসী দিগকে বৌদ্ধধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিবার জন্য তিনি অশেষ প্রকারে চেষ্টা পাইয়াছিলেন। তঁহার সময়েই মথুরায় বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রভাব বিস্তৃত হয়। কনিষ্কের পর হবিষ্ক এবং হবিন্ধের পর বাসুদেব (বাজদেও) সিংহাসন লাভ করিয়াছিলেন। ঐ বংশ ১৯০ বৎসর রাজত্ব করেন। তাহার। আপনাদিগকে “দেবপুত্ৰ’ বলিয়া পরিচয় দিতেন। তঁহাদের প্রতিনিধি-শাসনকর্তৃগণ ‘ক্ষত্রপ’ নামে অভিহিত হইতেন। মথুরা এক সময়ে সেই ‘ক্ষত্ৰিপ’-সংজ্ঞা-প্ৰাপ্ত রাজপ্রতিনিধিগণের শাসনাধীন ছিল। খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে, হুয়েন-সাঙের ভারতাগমন-সময়ে,

  • শক জাতির-উৎপত্তি-সম্বন্ধে পুরাণাদি শাস্ত্রে অনেক কথা লিখিত আছে। সুয্যেবংশে নরিষান্তের অংশে শকগণের উৎপত্তি হইয়াছিল, বংশলতার আলোচনায় তাহ দেখিতে পাই। এদিকে। সগর রাজা কর্তৃক র্যাহার রাজােত্রষ্ট ও দেশত্যাগী হইতে বাধা হন, শকগণ তাহদের মধ্যে অন্যতম। তাহারা ক্রিয়ালোপ হেতু ব্ৰাহ্মণ-দর্শনাভাবে ফ্লেচ্ছত্বি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন,-শাস্ত্রে এইরূপ উল্লেখ আছে। আধুনিক পণ্ডিতগণ নিদেৰ্শ করেন-মধ্য-এসিয়া প্রাচীন কালে শাক-দ্বীপ নামে অভিহিত হইত। গ্ৰীকগণ ঐ দেশকে সিদিয়া (Scythia) সংজ্ঞা প্ৰদান করিয়াছিলেন। সেই মধ্যা-এসিয়ার অধিবাসীরাই শাক নামে পরিচিত । শকগণ এক সময়ে বড়ই প্ৰতাপশালী হইয়া উঠিয়াছিলেন। তাহারা অনেক সময় দলবদ্ধ হইয়া দেশে বিদেশে গমন কনিয়া লুণ্ঠনাদি দ্বারা জীবিকা-নিৰ্বাহ করিতেন।