পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - দ্বিতীয় খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৪২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8SR, ভারতবর্ষ। সেমিটক জাতির অত্যাচারে মিশরের অধিবাসীরা নানা স্থানে পলায়ন করে। এসিয়ার নিনাভা, ফিনিসীয়া প্ৰভৃতি দেশেও সেই উপলক্ষে তাহাদের বসবাস হইয়াছিল। তাহারা মিশর হইতে যে বর্ণমালা শিক্ষা করে, সেই বর্ণমালা ক্ৰমশঃ ঐ সকল দেশে বিস্তৃত হইয়া পড়িয়াছিল। ইব্রীয় এবং ফিনিসীয়গণ সেই বর্ণমালার উৎকর্ষ সাধন করিরা, পৃথিবীর চারিদিকে বর্ণমালার বীজ বপন করিয়াছিলেন।” তবে এ মতও ষে সকলে এক-বাক্যে মান্য করেন, তাহা নহে। কেহ ক্রীট দ্বীপকে, কেহ বা বাবিলোনিয়াকে বর্ণমালার আদি-ক্ষেত্র বলিয়া নির্দেশ করিয়া থাকেন। ফলতঃ, সৰ্ববাদি-সম্মতিক্রমে বর্ণমালার আদি-তত্ত্ব কেহই নিৰ্দ্ধারণ করিতে পারিয়াছেন বলিয়া মনে হয় না । তবে মিশর হইতে ফিনিসীয়া এবং ফিনিসীয়া হইতে ইউরোপের ও এসিয়ার অন্যান্য প্রদেশে বর্ণমালা প্ৰবেশ লাভ করিয়াছিল, পাশ্চাত্য পৃণ্ডিতগগের অধিকাংশেরই এই মত। বর্ণমালাসমূহ কোন আদর্শের অনুসরণে প্ৰথমে অঙ্কিত হইয়াছিল, তদ্বিষয়ে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন মত প্রচলিত আছে। মিশরের ‘আ’ নামক অক্ষর-ঈগল পক্ষীর আকৃতির অনুসরণে:নিৰ্ম্মিত হয়। সারস পক্ষীর আকৃতির অনুসরণে তাহাদের ‘ব’ অক্ষর, সিংহাসনের আকৃতিয় অনুসরণে ‘গ’ অক্ষর প্রভৃতি গঠিত DDBDBS DBDD gDE gBtBSBBB BDBD SDBDBDE LBDD SDBDDDDS (অর্থাৎ এ ) অক্ষরে বৃষ শব্দ বুঝাইত ; “বেথ’ এবং “বেটা” (অর্থাৎ বি) অক্ষরে গৃহ অর্থ বুঝাইত। ‘গিমেল’ এবং “গাম” (অর্থাৎ জি বা গ) অক্ষর “উন্টু” অৰ্থ বুঝাইতে প্রযুক্ত হইত। প্রত্নতত্ত্বানুসন্ধিৎসু পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ ইহাই নিৰ্দ্ধারণ করিয়া থাকেন। কোন দেশের বর্ণমালার কিরূপে উৎপত্তি হইয়াছে, পণ্ডিতগণ তৎসম্বন্ধে নানা মত প্ৰকাশ করিয়া গিয়াছেন। কেহ বৰ্ণমালা-সৃষ্টির আদিম পদ্ধতিকে পাঁচ ভাগে বিভক্ত করিয়া, সেই সেই ভাগের মধ্যে পৃথিবীর বর্ণমালা-সমূহ সন্নিবিষ্ট করিবার চেষ্টা পাইয়াছেন ; কেহ বা । আদিম কালের একটী মৌৰ্ত্তিক অক্ষরের কল্পনা করিয়া লইয়া, তাহা হইতে বৰ্ত্তমান কালেব বর্ণমালা-সমূহের ক্ৰম-পৰ্যায় নির্দেশ করিয়াছেন। সে সকল যুক্তি-তর্ক রহস্যময়, সন্দেহ নাই ; সে সকল যুক্তি-তৰ্ক, আমরা মানিয়া লইতে প্ৰস্তুত না থাকিলেও, বঙ্গীয় পাঠকগণের কৌতুহল নিবারণোদ্দেশ্যে, তদ্বিময় উল্লেখ করিতেছি। পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণের কল্পিত সেই পাঁচ বিভাগ এবং তদন্তৰ্গত উপবিভাগ-সমুহের পরিচয় এই। প্রথম-মিশরদেশীয় বর্ণমালা । উহা পাচটা উপবিভাগে বিভক্ত ; যথা,--(১) স্তম্ভাদির গাত্ৰাঙ্কিত মৌৰ্ত্তিক অক্ষর, ( ২ )। ধৰ্ম্মযাজকগণের ব্যবহৃত বর্ণমালা বা কার্সিভ হয়েরেটিক, (৩) সেমিটক বর্ণমালা, ( s ) সাধারণের ব্যবহৃত বর্ণমালা বা কাসিভ ডেমটিক ; (, ৫ ) প্ৰাচীন মিশরবাসিগণের ব্যবহৃত বর্ণমালা বা কপিটক। দ্বিতীয়,-কুনেইফৰ্ম্ম বা কিলাকার বর্ণমালা । ইহা নয়টা উপবিভাগে বিভক্ত ; যথা,-( ১ ) বাবিলন-দেশীয় রেখাময় মৌৰ্ত্তিক অক্ষর, ( ২ ) বাবিলন-দেশীয় কিলাকার অপ্রচলিত বর্ণমালা, (৩) বাবিলন-দেশীর ধৰ্ম্মযাজকগণের বর্ণমালা ( ৪ ) সুসায়-দেশের শব্দাংশাত্মক বর্ণমালা, ( ৫ ) আসিরীয় দেশের क्लिांकांब्र दभि2, ( ७ ) ግ(‹*ሳኅማኅ4 কি লাকার বর্ণমালা বা আলারোড়িম্বন বর্ণমালা, 955-NCR 5 অাদর্শ ও বিভাগ ।