পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - প্রথম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষ । - بالا নির্ণয়ের জন্ত এখনও প্রাগরি লক্ষ সাতাইশ হাজার বৎসর অপেক্ষ করিয়া থাকিতে হইবে, যেহেতু, এখনও ঐ পরিমাণ বৎসর অতীত হইলে, সত্য-সন্ধি-সময়ে, কল্কি-অবতার জন্মগ্রহণ করিবেন—সে কথা পুরাণে লিখিত আছে। তাহা হইলে, সেই সময়ের পরবৰ্ত্তি-কালের লোকেও এই সকল পুরাণ সেই সময়ে রচিত হইয়াছিল বলিয়া মনে করিধে না কি ? ঋষিগণ ত্রিকালজ্ঞ ছিলেন ; তাহার। ভূত-ভবিষ্যৎ-বর্তমান—সৰ্ব্বকালের সমাচার ধ্যানৰোগে জ্ঞান-প্রভাবে অবগত হইতে পারিতেন। সুতরাং ভবিষ্ক-বিষয় লিপিবদ্ধ করিয়া প্রচার করায়, ভবিষ্যৎ-কালে তাহ লিপিবদ্ধ হইয়াছিল বলিয়া মানিয়া লইতে পারা যায় না। আজি-কালি বিজ্ঞানোন্নতির দিনে, জোতিগণনাক্রমে আমরা স্থির করিতে পারি –কোন বর্ষের কোন সময়ে কোন প্রদেশে কিরূপভাবে চন্দ্রগ্রহণ বা স্বৰ্য্যগ্রহণ হইবে ; পঞ্জিকাদিতেও বহুতর ভবিষ্কা-ঘটনা লিপিবদ্ধ থাকে, এবং তাহা যথার্থ মিলিয়া যায় । অথচ, আমরা কখনই বলি না,—সেই জ্যোতির্গণনা বা পঞ্জিকার বিষয়-পরম্পরা, তত্ত্বৎ ঘটনা সংঘটিত হইবার পরবৰ্ত্তি-কালে লিপিবদ্ধ হইয়াছে। তাহা যদি না হয়, আমাদের পঞ্জিকাদির জ্যোতির্গণনায় যদি ভবিষ্য-বিষয় নির্দেশ করিতে পারি, তাহা হইলে, পরমযোগী ঋষিগণের ভবিষ্য-সিদ্ধাস্তকেই বা কেন বিশ্বাস না করিব ? হইতে পারে, যে পদ্ধতিক্রমে, যে যোগ-সাধনার গুণে, তাহারা ত্রিকালের সমাচার অবগত হইতে পারিতেন ; সে পদ্ধতি, সে সাধনা, এখন বিলুপ্ত-প্রায় ;-অধুনা আমরা তাহার ব্যান-ধারণা করিতেও সমর্থ নহি । কিন্তু তাই বলিয়; পুরুষ-পরম্পর-প্রচলিত মতের একেবারে বিলোপ-সাধন সহস্য BBB BS BBB BB BBB BBS BBBBSBBBB BBBB BBB BBB BS BBB অসামঞ্জস্য ঘটিতেছে । ইহারও প্রধান কারণ,—কল্প-মস্বস্তুর-যুগাদির ক্রম-বিবৰ্ত্তন এবং তদ্বিষয়ে ধ্যান-ধারণ-অভিজ্ঞ তার অভাব । পুরাণের নির্দেশ অনুসারে বুঝিতে পারি,-কল্প এক নহে, মমু এক নহেন, মন্বস্তুর এক নহে, বেদব্যাসও এক লহেম, রামকৃষ্ণাদি DBBBB BB BBBB BBBBB BBBB BBB BB BBBBB BBBBB B BBBB হইয় থাকে। সে হিসাবে, আমরা দেখিতে পাই,—অগ্নি-পুরাণ ঈশান-কল্পে, ভাগবত পুরাণ সারস্বত-কল্পে, এবং মৎস্যপুরাণ বরাহ-কল্পে প্রবর্তিত হইয়াছিল। ঐ সকল পুরাণে তত্তৎ-কল্পের ঘটনা-পরম্পরা লিপিবদ্ধ আছে। অন্তান্ত পুরাণেও ঐরূপ এক এক কয়-মন্বন্তরের পরিচয় পাওঁয়া যায়। যাহারা বলেন-ভারতবর্ষে শৈব-মতের প্রাধান্ত-কালে, অর্থাৎ বৌদ্ধ-ধর্মের বিলোপ-সাধনে শৈব-ধৰ্ম্মের প্রাবল্য হইলে, শৈব-পুরাণ-সমূহ এবং বৈঞ্চবমতের প্রাধান্ত-কালে, বিষ্ণু-মাহাত্ম্য প্রচারের সময়, বৈঞ্চব-পুরাণ-সমূহ প্রচারিত হইয়াছিল ; তাহদের বিশ্বাস,- খৃষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দী হইতে সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যে ঐ সকল পুরাণ রচিত হয়। কিন্তু পৌরাণিকগণের মতে,-সেইরূপ শৈব-প্রাধান্ত বা বৈষ্ণব-প্রাধান্স, সেরপ্রাধান্ত বা গাণপত্য-প্রাধান্ত, কয়ে করে যুগে যুগে প্রতি মন্বন্তরে হইয়া থাকে। শীতের পর যেমন ৰীত আসে, বর্ধার পর যেমন আবার বর্ষ আসে, গ্রীষ্মের পর যেমন আবার গ্রীয় ফিরিয়া আসে ; সেইরূপ ব্ৰহ্ম-বিষ্ণু-মহেশ্বরের, সবরদস্তমের প্রাধান্ত-প্রতিষ্ঠার দিনও পৰ্য্যায়ক্রমে সংসারে আলিয়া উপস্থিত হয়। পুরাণ-সমূহ তত্ত্বং ভাবের উন্মেষ করিয়া