বৈদিক-প্রসঙ্গ । 設ぐ。 হইলে, সে স্থতি অনেকেই বিশ্বত হইতে না পারেন ; কিন্তু কাল-সাগরের তরঙ্গ-প্রবাছে কত কত জলবুদবুদ উখিত হয়, কে তাহা গণমা করিয়া রাখিতে সমর্থ হন ? ঐতিহাসিক ঘটনা-পরম্পরাও অনেকটা সেইরূপ বলিয়। মনে হয়। বর্তমান ইতিহাসে যাহ উজ্জ্বল অক্ষরে লিখিত থাকে, ভবিষ্যতের ঘটনা-পরম্পরার ঘাত-প্রতিঘাতে নিশ্চয়ই তাহার ঔজ্জ্বল্য কিয়ৎপরিমাণে কমিয়া যায়। এইরূপে কমিতে কমিতে, কালক্রমে অতু্যচ্ছল স্মৃতির চিহ্ন মাত্র অবশিষ্ট থাকে ; সাধারণ ঘটনা-পরম্পরা কেহই আর তখন গণনার মধ্যে আনিতে চাহেন না। দৃষ্ট্রাস্ত-স্বরূপ, তারতে মুসলমান-রাজত্বের ও ইংরেজ-রাজত্বের সেদিনের ঘটনাই উল্লেখ করি না কেন ? মামুদ ঘোরীর ভারতলুণ্ঠন-কাহিনী স্মৃতি-পটে যতটা উজ্জ্বল হইয়া আছে, দাসবংশীয় রুকুমুদ্দীন বা নসিরুদীনের কথা কি ততদূর মনে থাকিবে ? পলাশীর যুদ্ধ-কাহিনী, অথবা সিপাহি-যুদ্ধের পর ভিক্টোরিয়ার ঘোষণ-বাণী যতদূর স্মরণ থাক। সম্ভবপর, রিস্তাম্বর বা পলিঙ্গুরের যুদ্ধ-কথা অথব। সেগোলীর সন্ধি-কথা ইতিহাসে তাদৃশ প্রশস্ত স্থান লাভ করিবে কি ? ফলে, পরবৰ্ত্তিকালে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনাবলী একে একে ইতিহাসের পৃষ্ঠ হইতে অন্তৰ্হিত হইবে – BBB BBBBB BBB BSBBSBBBBB BBBB DDDBB BBBS BBB BBD কয়েক শতাব্দীর ইতিহাসের পৃষ্ঠা আলোড়ন করিলেই, এই তথ্য সংগৃহীত হয় । লে BBBS BB BBBBDSBB BB BBBB BBBBDSBBBSSSBBBB BBBBS BBB ধারাবাহিক সমস্ত ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনায় সমর্থ হইবে ? বিশেষতঃ, তাহার আবখ্যকতাও উপলব্ধি হয় নাই বলিয়া মনে হয় । যাহ। বিশিষ্ট, যাহা সারভূত, যাহা প্রয়োজনীয়,–শাস্ত্র-নিহিত ইতিহাসে। তাহাই স্থান পাইয়াছে । ইতিহাস-শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ আলোচনা করিলেও, অধুনা পাশ্চাত্য-জাতিগণ যাহাকে ইতিহাস বলেন, আমাদের ইতিহাস তাহ হইতে এক সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র সামগ্রী ছিল। তাহাতে, ইতিহাস-শব্দে [ ইতিহ ( পরম্পরাগত উপদেশ ) + অস্ ( হওয়া ) + অ ] যাহাতে পরম্পরাগত উপদেশ আছে—তাহাই বুঝাইয়া থাকে । মহাভারতে ইতিহাসের সংজ্ঞা নির্দিষ্ট হইয়াছে,— “যাহাতে ধৰ্ম্মার্থকামমোক্ষের উপদেশসহ পূৰ্ব্ব-বৃত্তান্ত বর্ণিত আছে, তাহাই ইতিহাস " + B BBBBS BBBB BB BBBBB BBBB BB BBB BBB S BBDSBB ইতিহাসের আদিভূত। বেদ-হিন্দুর পুরাবৃত্ত । কিন্তু সেই পুরাবৃত্তে—ৰেদে—প্রাচীন রাজপ্তবর্গের ও আচার-ব্যবহারের কি পরিচয় প্রাপ্ত হই ? বলিয়াছি তো, ধারাবাহিক ঐতিহাসিক ঘটনাবলী বেদাদি শাস্ত্র-গ্রন্থে নিবন্ধ হয় নাই । প্রাচীন কালে অঙ্ক কোমও আকারে ইতিহাসের অস্তিত্ব হয় তো বিদ্যমাম ছিল। কিন্তু যুগ-যুগান্তরের বিপ্লব-বিবর্তনে তৎসমুদায় লোপ পাইয় । গিয়াছে। বেদ কণ্ঠে কণ্ঠে অৰিষ্টত ছিল ৰলিয়, উহার অস্তিত্ব লোপ বৈদিক-কালের রাজস্তম্বৰ্গ । পায় নাই। আর সেই জন্যই মনে হয়, বেদে ইতিহাসের সারস্তুত কয়েকটা তত্ত্বের উল্লেখ
- "ধর্ধার্থকামমোক্ষাশামুপদেশসম্বঞ্চিতং । । পূৰ্ব্বত্বভকথায়ুক্তমিষ্ঠিৰাসং প্রচক্ষতে "
