পাতা:পৃথিবী.djvu/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[৬৩]

রূপে যতটা শক্তি ব্যয় করিতেছে, সেই শক্তি আবার ত অমনি আপনা হইতে জন্মাইতে পারে না, তবে কেমন করিয়া সে ক্ষতিপূরণ হইয়া সুর্য্যে উত্তাপ সমভাবে রক্ষিত হইতেছে? আমাদের পৃথিবীতে আগুন জ্বালাইয়া রাখিবার নিমিত্ত ক্রমশই যেরূপ নূতন ইন্ধনের আবশ্যক সূর্য্যেরও ত সেইরূপ কিছু চাই এবং গ্রহখণ্ড সূর্য্যের উপর মাঝে মাঝে দ্রুতবেগে পড়িয়া কতক পরিমাণে সেইরূপ ইন্ধনের কাজ করিয়া থাকে। কিন্তু যে পরিমাণে গ্রহখণ্ড সূর্য্যের উপর গিয়া পড়ে, তাহা সূর্য্যের উত্তাপ সমভাবে রক্ষা করিবার মত প্রচুর নহে।

 সূর্য্য যে পরিমাণ উত্তাপ বিক্ষেপ করে তাহা সমভাবে রক্ষা করিতে গেলে প্রত্যেক ১০০ শত বৎসরে পৃথিবীর মত একটি বিশাল আয়তনের গ্রহ তাহার উপর পড়া চাই, তাহা হইলেই তাহার ১০০ বৎসরের উত্তাপ জমা থাকে, কিন্তু তাহা যেকালে পড়ে না, তবে কোথা হইতে সূর্যের উত্তাপ রক্ষা হইতেছে।

 ইহা একটি প্রাকৃতিক নিয়ম যে বাষ্প শীতল হইবার সময় সঙ্কুচিত হইয়া উত্তাপ বিক্ষেপ করে। সূর্য্যরূপ বাষ্প-গোলক শীতল হইয়া ক্রমশঃ যতই সঙ্কুচিত হইতেছে ততই তাহা হইতে আবার নুতন উত্তাপ নির্গত হইয়া বাহিরের উত্তাপ সমান রাখিতেছে। শীতল হইবার সঙ্গে সঙ্গে সূর্য্যের উত্তাপ বাড়িতেছে শুনিলেই হঠাৎ কেমন