পাতা:পৃথিবী.djvu/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৫২ ] আর্য্য জাতির জন্মস্থান ইহাই সস্তবপল্প মনে হয় । সমস্ত দেশের আর্য্যজাতিদের সাধারণ প্রচলিত প্রবাদই ইহার স্বাক্ষী স্বরূপ। আসিয়-বন্য । বহুদূর বিস্তৃত পৰ্ব্বতশ্রেণী উত্থানই আসিয়ার বন্যার কারণ। এই পৰ্ব্বতশ্রেণী ককেসস পৰ্ব্বতশ্রেণীর অংশ। পৃথিবীর অভ্যন্তর শীতল হইয়া সঙ্কুচিত হইবার সময় ভূপৃষ্ঠ ভেদ করিয়া উত্তপ্ত পদার্থ নিঃস্থত হইতে লাগিল। অদ্যান্য আকরিক পদার্থের সহিত নির্গত জলীয় বাষ্প, স্তস্তীকারে উঠিয়া প্রথমে আকাশে মেঘ রূপে জমিতে লাগিল, পুরে সেই বৃষ্টিবারি এবং ভূগর্ভনিঃস্থত কর্দম দ্বারা আসিয়া প্লাবিত হইল। এই উত্তপ্তপদার্থ উৎপাতের আমরা জুই প্রকার ফল দেখিতে পাই, একটি ক্ষণস্থায়ী, একটি চিরস্থায়ী। উপরোক্ত অগ্ন্যুৎপাত হেতু বহুদূরবিস্তৃত তখন যে বনা হইয়াছিল, তাহাই ক্ষণস্থায়ী, এবং বহুদূরব্যাপী ১৭৩২৩ ফিট উচ্চ যে আরারট পৰ্ব্বত এখন আমরা দেখিতে পাই ইহাই চিরস্থায়ী সেই অগ্ন্যুৎপাত চিন্তু। প্রায় সকল জাতির মধেই এই বন্যার উল্লেখ প্রাপ্ত হওয়া যায়। বেদ পুরাণ ইত্যাদি প্রাচীন আৰ্য্যজাতির সকল গ্রন্থেই তো এই কথার উল্লেখ আছে, এমন কি সংস্কৃত মহাভারত পাঠে জানা যায় মনু যে শৃঙ্গে নৌকা বন্ধন করিয়াছিলেন তাহা বেদব্যাসের সময়