পাতা:পৃথিবী.djvu/২৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ऽ४२ ] ইহা ব্যতীত পৃথিবীর গতি লাঘ হইবার আর একট কুরণ দেখিতে পাওয়া যায়। নানা প্রকার বৈজ্ঞানিক যুক্তি দ্বারা স্থির হইয়াছে যে আকাশের এমন কোন স্থানই নাই যেখানে ঈথর (Ether) না আছে। যদিও ঈথর এত সূক্ষ্ম যে উহ মাধ্যাকর্ষণের অধিকার বর্হিভূত বলিয়। কল্পিত হয়, তথাপি বৈজ্ঞানিকের বলেন যে ঈথরের সহিত ঘর্ষণেও শক্তির হানি হয় ; এইরূপ বলিবার কারণ এই যে, এনকি দ্বারা আবিষ্কৃত একটি ধূমকেতুর কক্ষ ক্রমশই ছোট হইয়া আসিতেছে অর্থাৎ ক্রমশই ঐ ধূমকেতুর কেন্দ্রাতিগ গতি কমিয়া যাইতেছে। ইহার অন্য কোনই কারণ দেখিতে পাওয়া যায় না ; কাজেকাজেই বৈজ্ঞানিকের ঐরূপ বলিতে বাধ্য হইয়াছেন। যদি একটা জ্যোতিষ্ক ঈথর ঘর্ষণে শ্লথগতি হইতে পারে তবে অন্যান্য জ্যোতিষ্কই বা কেন সেরূপ না হইবে ? এই কারণ হইতে যদিও অতি অল্পই ফল হইবার সম্ভাবনা তথাপি ইহাও পৃথিবীর মৃত্যুর জন্য কারণের সহায়তা করিতে পারে। এইত দেখিতে পাওয়া গেল পৃথিবীর গতি কমিবার দিকে উন্মুখ। এই কাৰ্য্য অপ্রতিহত ভাবে চলিলে কালে যে পৃথিবী স্বর্ষ্যে মিশাইয়া যাইবে—ইহাই সম্ভাব্য। বলিবার আবশ্যক নাই এই ঘটনার অনেক পূর্বেই পৃথিবীতে আর জীবের বসতি থাকিবে না, পৃথিবী চঙ্গের মত হইয়া পড়িবে।