উপক্রমণিকা।
বিজ্ঞান শিক্ষা।
জীবনের প্রভাত কালে, চৌদিক-সজ্জিত প্রাকৃতিক বস্তুর সৌন্দর্য্য দেখিয়া আমরা বিস্ময় ও আনন্দে অভিভূত হইয়া পড়ি, পরে দেখিতে দেখিতে এই সৌন্দর্য্য উপভোগস্পৃহার তীক্ষ্ণতা কমিয়া আসে, এবং সঙ্গে সঙ্গে আশ্চর্য্যের প্রভাবও মন্দ হইয়া পড়ে। তখন আমরা শুধু বিস্মিত হইয়াই সন্তুষ্ট থাকি না, বিস্ময়-উদ্দীপক বস্তুকে কেবল মাত্র দেখিয়াই আমাদের মনস্তুষ্টি হয় না, আশ্চর্য্য প্রভৃতি মনোভাবের দ্বারা আমরা প্রথমে যে সকল বস্তুর প্রতি আকৃষ্ট হইয়া সেই বস্তু সমুদ্রের উপকুলে স্তম্ভিত হইয়া দাঁড়াইয়া থাকি, মনোভাব শমিত হইলে আমরা সেই সকল বস্তুর তত্ত্ব জিজ্ঞাসু হই। মনুষ্যের এই তত্ত্ব জিজ্ঞাসা হইতেই বিজ্ঞানের সৃষ্টি। বস্তুদিগের প্রাকৃতিক তত্ত্ব নির্ব্বাচন করাই বিজ্ঞানের কার্য্য।
ভারতবর্ষই বিজ্ঞানের আদিম জন্মভূমি, বেদবর্ণিত সময়েও ভারতবর্ষে আমরা বিজ্ঞানচ্চর্চা দেখিতে পাই।
ভারতবর্ষীয়গণ যে অঙ্কবিদ্যার প্রবর্ত্তক তাহা সর্ব্ব-