এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sya যুগে অবতারণ করা হইয়াছে। পুরাণের কুৰ্ম্ম যেরূপ অদ্ভুতাকার ও প্রকাণ্ড শরীর, তাহাতে ইয়োরোপের দ্বিতীয় যুগ-স্তর-প্রাপ্ত ম্যাগালিসোরস্ ইকথিয়সোরস্ প্রভৃতি প্রকাও সরীস্থপদিগের আর এক জাতি আমরা চোখের উপর দেখিতে পাই। তাহার পর ইয়োরোপীয় ভূবেত্তাদিগের মতে তৃতীয় যুগে স্থলচী স্তন্যপায়ী হস্তী মহিষ বরাহ ইত্যাদি চতুষ্পদ জন্তুই প্রধান, সুতরাং তৃতীয় যুগে বরাহ অবতার বলিলে তাহ কিছুই অসম্ভব বলা হয় না। হয় ত তৃতীয় যুগে ভারতবর্ষে বরাহেরই প্রাধান্ত ছিল—ইহারা তখন যেমন সংখ্যায় অধিক তেমনি আকারে প্রকাণ্ড হইত। সৰ্ব্বশেষে মনুষ্য যুগ, মনুষ্য প্রথম জন্মকালে এখনকার মনুষ্য অপেক্ষ নিকৃষ্ট দেখিতে ছিল এজন্য পরশুরামরূপী মানুষের পূৰ্ব্বে নৃসিংহাবভারের উল্লেখ হইয়াছে। এইরূপে পৌরাণিক আখ্যান বিজ্ঞানের ভাষায় অনু বাদ করিলে, অনেক লুক্কায়িত সত্য উদ্ধার হইতে পারে। প্রোচীন বিজ্ঞান-শাস্ত্র ধারাবাহীরূপে ভারতবর্ষে কি অন্ত কোথাও চলিয়। আসে নাই । মাঝে মাঝে অসভ্য জাতির উপদ্রবে, দেশীয়দিগের অবহেলায়, কালের স্মৃতিলোপী অন্ধকারে প্রাচীন বিজ্ঞান একরূপ মুমু হইয়া পড়িয়াছিল। বহুকালের পর যোড়শ শতাব্দীতে আবার তাহা জীবন্ত হইয়া উঠিল। নুতনাবিষ্কৃত প্রণালী ক্রমে