এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هVه لا রূপে সিন্ধান্ত করিয়া চিরস্মরণীয় হইয়াছেন । ইহার পর দেকার্ভ, হাইগেন্স নিউটন প্রভৃতি অসাধারণ বুদ্ধিমান লোকের ১৭ শতাব্দীকে কুমুমিত করিয়া তুলিলেন। এই রূপে বিজ্ঞান উত্তরোত্তর অবাধে উন্নভির সোপানে আরোহণ করিতে লাগিল। বিজ্ঞান সমূহের মধ্যে জ্যোতির্ষিক ও ভূবিজ্ঞানই এই পুস্তকের প্রধান আলোচ্য,সুতরাং সে সম্বন্ধেও এখানে বিশেষ দুএকটি কথা বলা আবশ্যক। বিজ্ঞান সমাজে জ্যোতির্ষিক বিজ্ঞানই সৰ্ব্বাপেক্ষ উৎকৰ্ষলাভ করিয়াছে। জেভিষিক ঘটনা এখন সম্পূর্ণরূপে অঙ্গশাস্ত্রের আয়ত্তাধীন। জ্যোতিষীগণ গণনা দ্বারাই জ্যোভিষিক ভবিষ্যৎ ঘটনা নিশ্চিৎ রূপে জানিতে পারেন। জ্যোতিষ শাস্ত্রের আলোচিত বিষয় প্রধানতঃ দুইটি । প্রথম, সূৰ্য্য ও গ্রহদিগের পরম্পর সম্বন্ধ নির্ণয় করা, দ্বিতীয়, গ্রহদিগের সুর্য্য প্রদক্ষিণের নিয়ম স্থির করা। গ্রীকদিগের মধ্যে সাধারণ প্রচলিত ভ্ৰমাত্মক বিশ্বাস হইতে এখনকার বিশুদ্ধ মতে উপনীত হইতে পূৰ্ব্বোক্ত বিষয় দুইটি আবার দুইটি করিয়া সোপান অতিক্রম করিয়াছে। স্বর্ঘ্য ও গ্রহাদির পরস্পর সম্বন্ধ নির্ণয়ের দুই সোপান, প্রথম টলেমির মত। যে মত অনুসারে সৌর জগতের কেন্দ্র স্বরূপ স্থির পৃথিবীকে জ্যোতিষ্ক সকল পুদক্ষিণ করিতেছে বলিয়া কল্পিত হইয়াছিল।