এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ৩৮ ]

যায় তখন সূর্য্যকে একবার আমরা দক্ষিণ সীমায় ও একবার উত্তর সীমায় দেখিতে পাই।

 আমরা পৃথিবীতে অবস্থিত বলিয়া পৃথিবীর গতি অনুভব করিতে পারি না, সেই জন্য সূর্য্যকেই ক্রমাগত সরিতে দেখি। এইরূপে দৃশ্যতঃ সূর্য্য যে পথে পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে তাহাকে রাশিচক্র বলা যায়। এই রাশিচক্রের যে অংশ যে নক্ষত্ররাশির সম্মুখীন তাহা সেই নক্ষত্ররাশির নাম পাইয়াছে। মেষ, বৃষ, মিথুন, কর্কট, সিংহ, কন্যা, তুলা, বৃশ্চিক, ধনু, মকর, কুম্ভ, মীন এই বার রাশিতে রাশিচক্র বিভক্ত। এই রাশিচক্রে সূর্যের গতি অনুসারে আর্যগণ বৎসর গণনা প্রণালী স্থির করিয়া গিয়াছেন। মেষরাশিতে উদয় হইয়া যথাক্রমে অপর ১১ রাশি অতিক্রম করিয়া পুনরায় সূর্যের মেষরাশিতে আসিতে যে সময় লাগে তাহাই আমাদের এক বৎসর। সূর্য্য এক এক রাশিতে এক এক মাস অবস্থিতি করে। ইয়োরোপের জ্যোতিষিক বৎসর গণনার প্রথা অন্যরূপ। পৃথিবীর বিষুবরেখা ও রাশিচক্রের যে দুই স্থান পরস্পর কর্ত্তন করে সেই দুই স্থানে সূর্য্য আসিলে সমরাত্রদিবা হয়। বাসন্তিক সমরাত্রদিবার সময় সূর্য্য যে স্থানে থাকে সেই স্থান হইতে ছাড়িয়া আবার সেই স্থানে আসিলে ইয়োরোপীয় জ্যোতিষিক বৎসর পূর্ণ হয়। ইয়োরোপীয় জ্যোতিবের্ত্তারা অধুনা রাশি বিভাগ পরিত্যাগ করিয়াছেন। অপরাপর