এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[৩৯]

বৃত্তের ন্যায় সূর্যের দৃশ্যতঃ সূর্যের দৃশ্যতঃ বাৎসরিক গতির পথকেও তাহারা তিন শত, ষাট ভাগে বিভক্ত করেন।

 এই প্রসঙ্গে ক্রমে আর একটি কথা বলিবার আবশ্যক আছে। পৃথিবীতে এক সম্বৎসরে যে ভিন্ন ভিন্ন ঋতুর পরিবর্ত্তন হয় দিবারাত্রের দৈর্ঘ্য-বৈষম্যই তাহার কারণ। যদি চিরকাল পৃথিবীতে সমরাত্রদিবা থাকিত তাহা হইলে পৃথিবীতে ঋতুর পরিবর্ত্তন হইত না, সমস্ত বৎসরেই পৃথিবীতে একটি মাত্র ঋতু থাকিত। সূর্যোত্তাপবৈষম্যই ঋতুর প্রধান কারণ। পৃথিবীর যখন যে অংশে দিবসের দৈর্ঘ্য অধিক হয় সেই অংশ তত অধিক ক্ষণ ধরিয়া সূর্যের উত্তাপ পায়, অথচ রাত্রি ছোট বলিয়া সেই সঞ্চিত উত্তাপ সমস্ত রাত্রি ধরিয়াও প্রতিনিক্ষেপ করিতে পারে না, কাজেই সেই অংশে তখন গ্রীষ্ম কাল উপস্থিত হয়। আবার ধে অংশে রাত্রির দৈর্ঘ্য অধিক সে অংশ দিবসে অল্প উত্তাপ পায়-এবং যাহাও পায় রাত্রি বড় বলিয়া সমস্তই নিক্ষেপ করিতে পাবে। বসন্ত কালে ও শরৎকালে দিনরাত্রি অনেকটা সমান থাকে সে জন্য এই দুই সময় শীত গ্রীষ্ম কিছুরই প্রভাব থাকে না, দিবসে পৃথিবী যত উত্তাপ পায় সমান রাত্রি বলিয়া তাহা নিক্ষেপ করিতে পারে। এইরূপে আমরা গ্রীষ্ম হইতে শরৎ, শরৎ হইতে শীত, শীত হইতে বসন্তে আসি। পৃথিবীতে যথার্থ পক্ষে