छफुठझएछ সেই দৃশ্য দেখিতে দেখিতে রাজৰ্ষির চক্ষুঃ পদ্মালীন ভ্ৰময়ের ন্যায়, উৰ্দ্ধপক্ষান্তরালে বিলীন হইত, সমস্ত দেহে আনন্দচ্ছটা পড়িত। সেই অবস্থায় যিনি তঁাহাকে দেখিতে পাইতেন, তিনি ভাঙ্কিতন গণ্ডকীয় তীরে কোন দেবতা যোগ-সাধনা করিতেছেন। 8 কখনও কখনও মহিষী পঞ্চজনীর মুখখানি মনে হইত। রাজপুরীর আনন্দ-নিকেতন তঁাহার স্মৃতিতে উদিত হইলে তিনি ব্যথা বোধ কৱিতেন, কিন্তু প্ৰাণায়ামাদি দ্বারা মন ও ইন্দ্ৰিয়ের সমস্ত পথ নিরোধ করিয়া যখন তিনি ধ্যান-পরা হইতেন, তখন সংসারের কোন ভাবনাই তঁহাকে ক্লিষ্ট করিতে পারিত না । মহারাজ ভরত সর্বত্র রাজর্ষি বলিয়া কীৰ্ত্তিত হইলেন, পুণ্যরত মহৰ্ষিগণের মুখে তাহার প্রশংসা কীৰ্ত্তিত হইতে লাগিল । গালব, ভরদ্বাজ, ভামহ প্ৰভৃতি পুলহ-শিষ্যগণকেও স্বীকার করিতে হইল, রাজর্ষি অল্প সময়ের মধ্যে যোগ-পথে অনেক দূরে অগ্রসর হইয়াছেন। একদিন ভামহ প্ৰাতঃকালে রাজর্ষি ভারতের নিকট উপস্থিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন। তঁহার তাপের কোন বিন্ধু হইতেছে কি না ? প্ৰসন্ন মুখে ভরত বলিলেন, “পুলহ-আশ্রমের সন্নিধানে পুণ্যতোয়া গণ্ডকীর তীরে তপঃপথের অস্তুরায় কি থাকিতে পাৱে ?” ভামহ উত্তর করিলেন, “মহারাজ, আপনি সংসারাশ্রম ত্যাগ করিয়া আসিয়াছেন ; শুনিয়াছি বনবাসী হইলেও সংসারের চিন্তা
পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।