পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ფიჭვtfმiāt হইতেছে, সুন্দর নধরকাস্তি হরিণ-শিশুটিকে দেখিয়া বনের শৃগালগুলি ক্ষুধাৰ্ত্ত দৃষ্টিতে উকি মারিয়া থাকে। সেদিন তাহার হস্তে দণ্ড ছিল না, একটা শৃগাল প্ৰায় আসিয়া হরিণের উপরে পড়িয়াছিল, আজ নিকটবৰ্ত্তী বন হইতে তিনি একটি সুদৃঢ় শালিশাখার দণ্ড প্ৰস্তুত করিবেন, তাহা সৰ্ব্বদা ঘুরাইয়া উচ্চশব্দ করিতে থাকিবেন, শৃগালগুলি তাহা হইলে পলাইয়া যাইবে । এই সময় হরিণ-শিশুটি তাহার গাত্ৰ-লগ্ন বাকল ঈষৎ *’লেহন করিতে করিতে পশ্চাৎ ভাগে আসিয়া দাড়াইল, রাজা তখন পরম সুখানুভব করিতে লাগিলেন। পুলস্ত্য ও পুলহ রাজার সম্মুখে দাড়াইয়াছেন, রাজা তঁহাদিগকে দেখিতে পান নাই ; তিনি জপে নিযুক্ত, কিন্তু হৃদয় হরিণ-শিশুটির উপর পড়িয়াছে । পুলহ গভীর-দীর্ঘশ্বরে বলিলেন, “রাজন, কি করিতেছেন। আপনি যোগভ্ৰষ্ট। আপনি গৃহে ফিরিয়া যাউন, এই আশ্রমে থাকা আপনার পক্ষে শোভন নহে ।” রাজা এবার ঋষিদ্বয়কে প্ৰণাম করিয়া বলিলেন, “আমি এই হরিণশিশুটির জীবন রক্ষা করিয়াছি, এবং নিরপরাধ, বিমাতৃক, নিরাশ্রয় জীবকে পালন করিবার ভার লইয়াছি, ইহাই কি আপনার বিরক্তির কারণ ?” পুলহ বলিলেন, “আপনি যে মায়ার হাত এড়াইবার জন্য গৃহাশ্রম ত্যাগ করিয়া আসিয়াছেন, একটা সামান্য হরিণ আপনাকে আবার সেই মায়া-চক্ৰে ফেলিয়াছে, আপনি এ আশ্রম ত্যাগ করিয়া গৃহে গমন করুন।” রাজা বলিলেন, “ইহা মায়া নহে, জীবে দয়া-এই দয়ার অনুশীলনে S 08