পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

କିଙ୍ଗ ইন্দ্ৰচুড় কিছুতেই উহাকে শিক্ষা দেওয়ার আশা ত্যাগ করিলেন না। তিনি ক্ৰমাগত তদ্বিষয়ে চেষ্টিত রহিলেন। বাকৃহীনের বাক্যস্ফুক্তির জন্য দিবারা ত্ৰি চেষ্টা চলিতে লাগিল, এই চেষ্টার মধ্যে একদিন ইন্দ্রচূড়ের উপর জীবের অপরিহার্ঘ্য শেষ আহবান আসিল, তিনি দেহ রক্ষা করিয়া স্বৰ্গধামে গমন করিলেন, কনিষ্ঠ জায়া কমলা সপত্নীর হস্তে স্বীয় পুত্র ও কন্যাকে অৰ্পণ করিয়া স্বামীর চিতায় আরোহণ করিলেন। যখন কমলা দেবী চিন্তানলে দগ্ধ হইবেন, তখন তঁাহার কন্যা অরুন্ধতী সপত্নী লক্ষ্মীদেবী এবং আটপুত্র, বিলাপ-শব্দে গগনমণ্ডল বিদীর্ণ করিতেছিলেন । ভরতকে সেখানে আনা হইয়াছিল, এই শোকোচ্ছাসের মধ্যে দশম বর্ষীয় বালক ভরত নির্বিকার - তাহার মূৰ্ত্তি একটু গভীরতর হইয়াছিল। এই মাত্র । সমুদ্রে পতিত মনুষ্য ও সমুদ্র-তীরে উপবিষ্ট নিশ্চিন্ত ব্যক্তির যে প্রভেদ, তঁাহার সঙ্গে অপরের সেই প্ৰভেদ দেখা যাইতে লাগিল। তঁহার মুখমণ্ডলে পূর্ণ ব্ৰহ্মজ্ঞান ও অনিত্য বস্তুর ধ্বংসের জ্ঞান হেতু বিকার-রহিতত্ব, এই দুইটি ভাব সুস্পষ্ট জাগ্রত ছিল, তাহার ভ্রাতৃগণ এই ভাব বুঝিতে পারেন নাই, তাহারা বৃথা প্রাজ্ঞমানী ছিলেন । শ্ৰীকণ্ঠ এই বিলাপের মধ্যেও ক্ষুব্ধস্বরে বলিলেন, “এ হাবা ছেলেটার ভাব দেখিলে কষ্ট হয়। পশুকে ভগবান যে জ্ঞান দিয়াছেন, ইহাকে কি তাহাও দেন নাই ?”-এই সময় চিতায় উঠিবার পূর্বে সিন্দুরের কোঁটাহন্তে কমলা দেবী ভরতের কর ধরিয়া লক্ষ্মীদেবীর হস্তে দিয়া বলিলেন, “দিদি, এই বালককে দেখো, তোমরা জানি না, তোমাদিগকে বলি নাই, এই বালককে দেখিয়া আমি এই জীবনের সকল কষ্ট Σ. Σε σ'