ভূমিকা দ্বিজ বংশীদাস মনসার ভাসান কাব্যে চণ্ডীকে মনসাদেবীয় প্ৰতিকুলতায় নিযুক্ত করিয়া উপাখ্যান যে ভাবে পরিবর্তিত করিয়াছেন, আমি প্রাচীনতর কবিগণের অনুসরণ করিয়া ভঁাহার সেই পন্থা অবলম্বন DBB DDD S BDBD DDBD BDD D BBBB BDD DBDD DBBDB হইতে গ্ৰহণ করিয়াছি, এবং বেহুলার সাধনাত্ন কালে যে সকল পরীক্ষা হইয়াছিল, তাহাও কতকটা রূপান্তরিত করিয়া ভঁহারই কাব্যেৱ আদর্শে রচনা করিয়াছি । অপরাপর বিষযে কেতকাদাস ও ক্ষেমানন্দই আমার প্রধান আশ্রয় হইয়াছেন। স্থাননির্দেশসম্বন্ধেও আমি এই কবিদ্বয়কেই অবলম্বন করিয়াছি। যখন বহু স্থানেই চান্দ-সদাগরের আবাসভূমি কল্পিত হইয়াছে, তখন যে কোন প্রাচীন কবিকে অবলম্বন করিলেই চলিতে পারে। এস্থলে সত্য-নির্ণয়ের চেষ্টা বিড়ম্বন । বেহুলার শাশুড়ীর নামটি প্রাচীন পুথিতে ‘গুলকা’রূপে উল্লিখিত । এই “শুলকা’ শব্দ ‘শুক্লা’ শব্দের অপভ্ৰংশ কি না এবং সনকা সেই অপভ্রংশের রূপান্তর কি না। এ সকল গুঢ়তত্ত্ব প্রত্নতত্ত্বসম্বন্ধীয় প্রবন্ধে আলোচ্য। গ্ৰন্থভাগের অপরাপর নাম সম্বন্ধে পৃথকৃ পৃথকৃ আকার পুথিগুলিতে দৃষ্ট হয়,-যথা, কোন পুথিতে ‘অমলা’ কোনটিতে 'रधिया' ईऊyालेि । হিন্দু গৃহিণীর প্রাচীন আদর্শ কি ছিল, এই ক্ষুদ্র উপাখ্যানে যদি তাহার কিঞ্চিৎ আভাস দিতেও সমর্থ হইয়া থাকি, তবেই আমার চেষ্টা সার্থক মনে কৰিব । পরিশেষে গভীর কৃতজ্ঞতার সহিত উল্লেখ করিতেছি লালগোলার স্বনামধন্য রাজা শ্ৰীযুক্ত যোগীন্দ্রনারায়ণ রায় বাহাদুর এই পুস্তকের মুদ্রাঙ্কন-ব্যয়ানুকুল্য করিয়া আমাকে বিশেষরূপে উপকৃত করিয়াছেন। s
পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।