পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২০৩

अछै অন্তঃপুরের দ্বার ছাড়িয়া আসিয়াছিল ; যখন দেখিল সতী দেহত্যাগ করিলেন, তখন ভীষণ শূল লইয়া সে যজ্ঞশালাকে আক্রমণ করিল। কৃতান্তের ন্যায় তাহার মুক্তি ভীষণ হইল, তাহার মস্তকের অসংস্কৃতজটাকলাপ বর্ষাকালের মেঘের ন্যায় প্রধূমিত ও কৃষ্ণবর্ণ হইয়া উঠিল, দেহ হইতে জ্বালা বিকীর্ণ হইতে লাগিল। যজ্ঞ নষ্ট হয় দেখিয়া হোতা ভূণ্ড অগ্নিতে আহুতি প্ৰদান করিলেন, তাহাতে ঋভু নামক এক খড়গহস্ত দেবতা হোমানল হইতে উদ্ভূত হইল, সে নদীর শূল কাড়িয়া লইল ও যজ্ঞশালা হইতে তাহাকে তাড়াইয়া দিল। ટષ সতী বিদায় লইয়া যাওয়ার পরে শিব বিচলিত হইয়া পড়িলেন । প্ৰসন্ন শিবমুখে বিষাদের রেখা পড়িল । যাইবার সময় আগ্রহাতিশয়ে সতী তঁাহাকে প্ৰণাম করিয়া যান নাই-এরূপ ভ্ৰম তাহার কেন হইল ? শিব মনে মনে তঁহাকে আশিস করিতে লাগিলেন, আশীৰ্ব্বাণী আকাশের উৰ্দ্ধস্তরে ঠেকিয়া ফিরিয়া আসিল, শিব দেবীর অমঙ্গলা শঙ্কায় বিচলিত হইয়া উঠিলেন। সতী যে স্থানে স্নান করিতেন, সেখানে অলকানন্দ ও মন্দা নামী নদীদ্বয় গঙ্গাধারার সঙ্গে মিশিয়াছে। তাহার পার্শ্বে সৌগন্ধিক নামক বন, সেই বনে নানাবর্ণের স্থলপদ্ম ও পুন্নাগবৃক্ষ। শিব সেই স্থানে বিচরণ করিতে লাগিলেন, তাহার জটাবন্ধন খুলিল, কািটতে শাৰ্দ্দলিচৰ্ম্ম এলাইয়া গেল, কর্ণের ধুতুর ফুল খসিয়া পড়িল। মম্বানদীতে গন্ধৰ্ব্বরমণীগণের স্নানকালে তাহদের গাত্ৰভ্ৰষ্ট নবকুন্ধুমে জল পীতবর্ণ SoS