পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিকী গল্প বলিতে থাকেন, মেনকারাণীর মেহের কথা বলিয়া শেষ করিতে পারেন না, তখন সহসা সিংহের প্রতি দৃষ্টি পড়িলে তিনি দেখিতে পান, সিংহ যেন কি গভীর মনোবেদনায় ক্রমাগত হাই তুলিতেছে ও তাতার শ্মশ্র বাহিয়া অশ্রুবিগলিত হইতেছে । দেবী আদরে তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “সিংহ ! তোমার দুঃখের কারণ কি ?” ংহ কাতরভাবে বলিল, “স্বজাতির কষ্ট স্মরণ করিয়া আমার হৃদয় বড় ব্যাকুল হইয়াছে ; মা ! কালকেতুর অত্যাচার হইতে ইহাদিগকে বুক্ষা করুন ।” দেবী কিরাতনগরের উপকণ্ঠবৰ্ত্তী জঙ্গলে উপনীত হইলেন। সিংহ তাহাকে পরমানন্দে বহিয়া আনিল । তিনি সেই জঙ্গলে যাইয়া দেখিলেন, পশুগণ তিন দিবস উপবাসী থাকিয়া কেবল “মা, মা’ বলিয়া ফুকারিয়া কঁাদিতেছে, তৰ্ত্তীর বিপুল দেহ শীর্ণ হইয়া গিয়াছে, গণ্ডার স্বীয় খড়গ হেঁট করিয়া অশ্রুপাত করিতেছে, গণ্ডারী পুত্ৰশোকে জর্জরিত হইয়া মাটিতে মাথা খুঁড়িতেছে, ব্যাস্ত্ৰ স্ত্রী হারাইয়া পাগলের ন্যায় কঁাদিয়া বেড়াইতেছে । মহিষ, ছাগ, হরিণ, শজারু প্ৰভৃতি পশুগণ উপবাস-কৃশ ও ভয়-বিহবল, সামান্য শব্দে কালকেতুর জ্যা-নিনাদ কল্পনা করিয়া মূচ্ছিত হইতেছে। -অদূরে লজ্জাবনত রোষ-কষায়িত-নেত্র বিমৰ্ষ-বদন পশুরাজ আশ্রিতদিগকে রক্ষা করিতে না পারিয়া নিদারুণক্ষোভে চণ্ডীমাতাকে স্মরণ করিতেছে । অভয়ার আগমনে কিরাত-বনে সমস্ত কুসুম ফুটিয়া উঠিল; অকালে জলে পদ্ম ফুটিল ও চতুর্দিকৃ হইতে তরুগণ সুরভি নিশ্বাস ত্যাগ করিতে লাগিলা-পশুগণ দেখিল, বরাভয়দায়ী হস্ত প্ৰসাৱণ করিয়া জগজাননী মহিমান্বিত মূৰ্ত্তিতে প্ৰভাসিত হইতেছেন।--তাহারা পরমানন্দ্ৰে মাকে 象&°