পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিকী ধনের লোন্ডে নিক্তি, ওজন করিবার তাম্র-খণ্ড, কতকগুলি কড়ি, ধান ও কুঁচ লইয়া খিড়িকীর পথে বাহির হইল। মুরারির বয়স পঞ্চাশের উৰ্দ্ধে। সে শাস্ত্র-কারদের শাসন মানিয়া বনে যায় নাই ; যখন ডাক পড়িবে, তখন একবারে শ্মশানঘাটে যাইৰে, মাঝামাঝি কোথাও থাকা তাহার অভিপ্রেতি নহে। তাহার মুখে ও ললাটে শতগ্রন্থি জীৰ্ণ বস্ত্রের ন্যায় বহু কুঞ্চনের রেখা পড়িয়াছে ; অর্থই তাহার একমাত্র উপাস্য : এই অর্থে তাহার কোনই সুখভোগ হয় নাই, কেবল দিন রাত্ৰি সেই অর্থ রক্ষা ও বৃদ্ধির চেষ্টায় দুশ্চিন্তা লভ্য হইয়াছে ; --তাহাতেই সে একান্ত জীৰ্ণশীর্ণ হইয়া পড়িয়াছে । যখন ভাতের গ্রাস মুখে তুলিতে যায়, তখন উহা ভাত কি মাটি তাহার দিকে লক্ষ্য থাকে না, কোন খাতকের নিকট কত সুদ প্ৰাপ্য হইয়াছে, তাহারই চক্রবৃদ্ধি করিতে থাকে এবং দীন দুঃখী মুখ পল্লীবাসী তাহার নিকট যে কড়ি ধার নিয়াছে, তাহার কতকাংশ শোধ দেওয়ার সময় সে যে চতুরতা করিয়া DEBD BBDB BDBD BD DD BD BBDDYSDDD DB DBBB র্তাহার জটিল কুটিল গোঁফের মধ্য দিয়া একটা হাসির বিজলী-রেখা cथंडिळ शृंक । মুক্তিটি বেঁটে মত, গায় অনেক লোম আছে। পরিধেয় বস্ত্ৰ অতি মলিন ও স্বেদ-সিক্ত। খিড়কী-পথে বাহির হইয়া মুরারি বলিল, “এই যে ভাইপে, আমি এই বাড়ী ফিরিলাম, একেবারেই যে দেখা সাক্ষাৎ করা না, ব্যাপারখানা কি ?” কালকেতু বলিল, “দিনটা মৃগয়া করিতেই কাটিয়া যায়, কোন সময়েই বা দেখা করি ? তা’ যাক, আমি এই অঙ্গুরীটা ভাঙ্গাইব, খুড়া, তুমি ইহার উচিত মূল্য দিলে বড়ই উপকৃত হইব।” 88