পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6श्रीज्ञाधिकी তাহার জ্যেষ্ঠপুত্র হরিসাধু পুরুলিলনাগণের কাতরোক্তি ও আক্ষেপ থামাইতে প্ৰবৃত্ত হইলেন । 峰 সেই সভা হইতে একটু দূরে যাইয়া হিন্তালের যষ্টি হন্তে উন্নতদেহ তেজঃপুঞ্জ সদাগর দুইটি শঙ্কাপূৰ্ণ চক্ষু উৰ্দ্ধে উত্থিত করিয়া মহেশ্বরকে স্মরণ করিতে লাগিলেন । বিবাহন্তে চান্দ-সদাগর সায়-বোণেকে বলিলেন, “আমি এখনই পুত্র ও পুত্রবধূকে লইয়া চম্পকনগরে যাত্রা করিব।” বিবাহের রাত্রি কন্যার পিতৃগৃহে অতিবাহিত করাই বরের চিরাগত প্ৰথা । সায়-সদাগরের মাতুল বৰ্দ্ধমানের নীলাম্বর দাস ঘোর আপত্তি উত্থাপিত করিলেন ; চাঁদ-সদাগরের খুল্লতাত লক্ষপাতির জামাতা ধনপতিও চাদের এই প্ৰস্তাব বিধি-বিরুদ্ধ বলিয়া বঁাকিয়া বসিলেন । এদিকে অমলাপ্রমুখ নিছনি-নিবাসিনী রমণীকুল এই অনুচিত প্ৰস্তাবে বিষম বিরক্তি প্ৰকাশ করিলেন । চাদ, বেহাইকে নির্জনে ডাকিয়া লইয়া তাহার করাধারণপূর্বক দাড়াইলেন । অকস্মাৎ তাহার নয়ন হইতে অজস্র জলধারা বিগলিত হইতে লাগিল, তিনি কোনও কথা বলতে পারিলেন না । সায়-বোণে তঁহার এই ব্যবহারে বিস্মিত হইলেন। চাদ বাষ্পগদগদকণ্ঠে বলিলেন, “বোহাই! আমার দুর্বলতা মার্জনা করিবেন, কিন্তু যে কষ্টে আমার চক্ষু হইতে জল নিঃস্থত হইয়াছে তাহা সামান্য নহে। বিবাহের বাসবৃগুহে আমার পুত্রের সর্পদংশনে জীবন নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে, দৈবজ্ঞেরা ইহাই গণিয়া বলিয়াছেন। আমার ছয়টি পুত্র সর্পদংশনে প্ৰাণত্যাগ করিয়াছে, মনসার সঙ্গে আমায় বাদবিসংবাদের কথা আপনার অবগত আছেন । আমি চম্পকনগরের সীমান্তে সাতালীপৰ্ব্বতে লৌহনির্মিত সুদৃঢ় গৃহ নিৰ্মাণ করিয়াছি, অদ্য বুজনী পুত্র ও V9R