পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেহুলা পট্টবস্ত্ৰ মলিন হয় নাই, পদের আলতায় এখনও ধূলি পড়ে নাই, বাসররাত্ৰেই বংশের দীপ নিবাইলি ।” “খণ্ডক পালিনী বেহুল চিরুণী দর্দাষ্ঠী বিহাদিনে খালি পতি না পোহাইতে রাতি ।” সনকা পুত্রের বিবৰ্ণ বিষ জর্জরিত মুখমণ্ডল দেখিয়া উন্মলিত তরুর ন্যায়। সেই স্থানে নিপতিত হইলেন । চাদ ক্ষণকাল বিলম্ব না করিয়া সেই স্থান হইতে চলিয়া গেলেন । বেহুলা রমণীগুণের নিন্দ শোনেন নাই, তঁাহার মন সে দিকে ছিল না, জন্মের তরে স্বামী একটিবার তাহার অঙ্গস্পর্শ চাহিয়াছিলেন, জন্মের তরে একটিবার তাহার হাতের রাধা ভাত খাইতে চাহিয়াছিলেন, বেহুলা তাহাও দিতে পারেন নাই, সেই কষ্টে তাস্থার হৃদয় বিদীর্ণ হইতেছিল। রমণীগণ সত্যই বলিয়াছে, সে ত খণ্ডকপালিনী ও চিরুনূর্দাতী, অহা না হইলে এরূপ পোড়া-অদৃষ্ট কাহার হয়, বিবাহের রাত্রে স্বামীর মৃত্যু কাহার হইয়া থাকে । বেহুলার চক্ষু ফাটিয়া জল পড়িতে উদ্যত হইল, তিনি তাহা নিরোধ করিলেন । একবার মাত্র চক্ষু তুলিয়া বেহুলা দেখিলেন, প্রৌঢ়া স্নেহ-বিহবলা মূচ্ছিত সনক দিবাচু্যতা কিন্নৱীর ন্যায়। ভূতলে পড়িয়া আছেন, এমন শাশুড়ীকে লইয়া তিনি আয়তি চিহ্ন ধারণা করিয়া একদিনও সংসার করিতে পারিলেন না ! “পরম সুন্দর লখাইর দীর্ঘ মাথার চুল। জ্ঞাতিগণ ধ’রে নিল গাজুড়ের কুল ।” বেহুলার আজ কোন লজ্জা নাই, তিনি স্বামীর শব্যের সঙ্গে সঙ্গে গেলেন । লেখার জন্য পদ্ম-গন্ধি কাষ্ঠের চিতা প্ৰস্তুত হইল।--বেহুলা সেই Vo