পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিকী মহাদেব তঁাহাকে আশ্বস্ত করিয়া, লক্ষ্মীন্দরকে পুনর্জীবিত করিতে আদেশ দিলেন। চান্দ-সদাগর যাহাতে পূজা করে, তিনি তাহার ব্যবস্থা করিতে অঙ্গীকার করিলেন । SNe তখন প্ৰফুল্ল-চিত্তে বিষহরি লক্ষ্মীন্দরের পুনজীবন দান করিলেন, লক্ষ্মীন্দরের পায়ের একখানি অস্থি বৈায়াল মৎস্যে ভক্ষণ করিয়াছিল, বহু সন্ধানে তাহা তিনি আনাইলেন। স্বর্গের বায়ুস্পর্শে অপূৰ্ব কান্তি লাভ করিয়া পুনর্জীবিত লক্ষ্মীন্দর বেহুলার পার্শ্বে দাড়াইল। দেবী বলিলেন, “বেহুলা, আমি তোমার তপস্যায় প্রীত হইয়াছি, তোমার আর কিছু অভীষ্ট থাকে ত প্রার্থনা কর।” বেহুল যুক্ত-করে মনসাকে বলিলেন, —“আমি স্বামী লইয়া আনন্দে গৃহে ফিরিব, আর আমার ছয়টি জা” শঙ্খসিন্দুর বর্জিত হইয়া নিরামিষ হাড়ি লইয়া পরিতৃপ্ত থাকিবেনতাহা কেমন করিয়া সহিব ? মা বিষহরি, দাসীকে ভাসুরদিগের জীবনভিক্ষা দান করুন ।” চন্দ্রধরের জ্যেষ্ঠপুত্ৰ শ্ৰীধর গোলাঘরের তত্ত্বাবধান করিতেছিল, এমন সময় নিকটবৰ্ত্তী ফুল বাগান হইতে একটি সৰ্প আসিয়া তাহাকে দংশন করিয়াছিল। তৎকনিষ্ঠ শ্ৰীকর অশ্বপুষ্ঠ হইতে অবতরণকালে সৰ্পকর্তৃক দংশিত হইয়াছিল, তৃতীয় পুত্র গুণাকর বাজপক্ষী শিকার করিবার কালে, তৎকনিষ্ঠ সৃষ্টিধর জলবিহারের সময়, পঞ্চম হীরাধির অন্তঃপুর প্রবেশপথে এবং সর্বকনিষ্ঠ দুৰ্গাধর সমবয়স্ক বালকদিগের সঙ্গে খেলা করিবার সময় সৰ্পদংশনে মৃত্যুমুখে পতিত হইয়াছিল। মনসা দেবী তাহাদের প্রাণ হরণ o