পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেহুল বাদ করিয়া, কি তুমি প্রকৃতই সেই নিৰ্বিকল্প অবস্থার পরিচয় দিতেহু ? তুমি এই কথার উত্তর দাও, আমাকে পালিতকেশ শীর্ণ বৃদ্ধ দেখিয়া ঘূণা করিও না, তুমি ত এইমাত্র বলিতেছিলে, ‘মন্দো নৈব মে নৈব মাৎসৰ্য্যভাব; ” চাদ, বৃদ্ধকে কোন সন্ন্যাসী মনে করিয়া বলিতে লাগিলেন, “তোমাকে বিজ্ঞ বলিয়া বোধ হইতেছে, সুতরাং বলিতেছি শোন, যে দেবতা দুঃখ প্ৰদান করেন। কিংবা সাংসারিক সুখ দ্বারা ভক্তকে পুরস্কৃত করেন, আমি তাহার সেবক নাহি । আমি বিদ্বেষবশতঃ মনসাদেবীকে উপেক্ষা করি নাই । আমার পুরীতে র্তাহার কোন প্রয়োজন নাই। আমি সুখ্যান্বেষী কি দুঃখ-ভীত নাহি। আমি আত্ম-বস্তু, চিৎস্বরূপ, আনন্দময়-আমার গুয়াবাড়ী ধ্বংস হইল, কিংবা সাতডিঙ্গা জলমগ্ন হইল, অথবা সাতটি পুত্ৰই ধ্বংস হইল, তাহাতে আমি বিচলিত হই নাই। সমস্ত পৃথিবীর ঐশ্বৰ্য আমার নিকট অতি তুচ্ছ, এজন্য আমি মনসাদেবীকে অগ্রাহ করিয়াছি। সংসার-সমুদ্রের সমস্ত হলাহল আমার নিকট নগণ্য-এজন্য আমি মনসাকে উপেক্ষা করিয়াছি। এই দুঃখ-সুখ তরঙ্গ মাগ্নিক ও মিথ্যা-আমি নিত্য বস্তুর সন্ধান করিতেছি । আমি স্ত্রীলোকের ন্যায় দেবতার মাঠে ধন্ন দিয়া, সাংসারিক কোন কামনা-সিদ্ধি প্রার্থনা জানাইবার লোক নহি । সুখে আমি বীতস্পৃহ, দুঃখকে আমি ভয় করি না। বৃদ্ধ, তুমি আমার হৃদয়ের বল জানি না-এজন্য মনে করিতেছি, আমি দ্বেষ-পরবশ হইয়া তাহার সঙ্গে দ্বন্দ্ব করিতেছি । “এই দেবতাটি গায়ে পড়িয়া আত্মীয়তা করিতে চাহে । আমি তঁহাকে পূজা দিব না, তবু সে পূজা পাইতে লোলুপ। মনসা যাহা নিতে পারে বা দিতে পারে, আমি তাহার উপাসক নহি । আমি কেন তাহাক্স পূজা করিব ? আমার দেবতা তাহার অপেক্ষা অনেক উৰ্দ্ধে অবস্থিত, ፃ $