পাতা:পৌরাণিকী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऊफुङन्नङ সমস্ত উপায় বিফল হইল, তখন তিনি বুঝিতে পারিলেন, বেদ-বেদান্তের তত্ত্বজ্ঞান ও সূক্ষ্মবুদ্ধি চরিত্র সংশোধন করিতে পারে না, “কৰ্ম্মণা বাধ্যতে বুদ্ধিৰ্ন বুদ্ধ্যা কৰ্ম্মবাধ্যতে”। তাহা না হইলে এই দুই বুদ্ধিমান পুত্র এরূপ বিসদৃশ অভিনয় করিতেছেন কেন ? রাজা ভাবিতেন, যদি এই সংসারে সম্পূর্ণরূপে তাহার ছন্দানুবৰ্ত্তী নিরীহ কাহাকেও পাইতেন, তবে তিনি ভালবাসিয়া সুখী হইতে পারিতেন । -፩ বিরক্ত হইয়া রাজা উদাসীনের মত বনে চলিলেন । পঞ্চজনী অনেক করিয়া সাধিলেন। পুত্রেরা চরণে পড়িয়া ক্ষমা চাহিল। “আর বিবাদ করিবে না’ বলিয়া প্ৰতিশ্রুতি দান করিল। রাজা বলিলেন, “তোমাদের কথায় আমার বিশ্বাস নাই, কিন্তু যদি তোমরা শান্তির জন্য প্রকৃতই ইচ্ছুক হইয়া থাক, তবে তোমাদের গৃহ-সুখ অক্ষুব্ধ হইবে-তাহা সৰ্ব্বতোভাবে তোমাদের ইষ্টের জন্য। কিন্তু আমি আর গৃহে ফিরিব । না । পকাফল আর শাখায় থাকে না, সংসারের সঙ্গে আমার যে বন্ধন ছিল তাহা স্বাভাবিকক্রমেই ছিন্ন হইয়া গিয়াছে। প্রৌঢ় বয়স অতিক্রম করিয়াছি, শাস্ত্রানুসারে বানপ্ৰস্থই আমার অবলম্বনীয়।” SR রাজা ভরত পুলহ-ঋষির আশ্রমে উপস্থিত হইলেন ; পুলহ। তখন শিষ্য ভরদ্বাজ এবং আত্ৰেয়ের সাহায্যে অগ্নি জালিয়া হোমের উদ্যোগ করিতেছিলেন। অদূরে অপর শিষ্য ভামহ কাষ্ঠভার বহিয়া আনিতেছিলেন এবং শাকটায়ন গুরুদেবের হস্তে ক্রকৃ প্ৰদান করিতেছিলেন । গার্লব একপার্থে কুশ ও দর্ভান্ধুর সজ্জিত করিয়া কদলীপত্রের এক প্রান্তে