পাতা:পৌরাণিক ইতিবৃত্ত - প্রথম খণ্ড.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিক ইতিবৃত্ত। 4 לל জলবৃষ্টি, বায়ব্য অন্ত্রে প্রবল বায়ুর উৎপত্তি, পার্জন্য অস্ত্রে মেযোদয়, এবং পৰ্ব্বতাস্ত্ৰে পৰ্ব্বতের আবির্ভাব হইয়াছিল। অর্জুন অস্ত্র প্রয়োগ করিতে করিতে কখন অন্তৰ্হিত, কখন পুরোবর্তী, কখন দীর্ঘ, কখন হ্রস্ব, কখন লঘু কখন গুরু, ক্ষণে রথমধ্যস্থ, ক্ষণে ভূতলে অৰতীর্ণ এবং ক্ষণে ক্ষণে রথের মধ্যে অদৃশ্ব হইতে লাগিলেন। উাহার এতাদৃশ আশ্চর্য শিক্ষা ও যুদ্ধ-কৌশল সন্দর্শনে দর্শক মাত্রই সাধুবাদ প্রদান করিতে লাগিল। অর্জুন একটা স্তম্ভের উপরি স্থাপিত ঘূর্ণায়মান লোহ-নির্মিত-বরাহের মুখ মধ্যে ধনুকের এক-আকর্ষণেই যেন, ৫টা বাণ প্রয়োগ করিলেন। তৎপরে একটী রজুবদ্ধ চঞ্চল গোশূঙ্গের কোষ অর্থাৎ ছিদ্র মধ্যে ক্রমিক ২১টা বাণ প্রবেশ করাইলেন। এইরূপ খড়গ প্রভৃতি অন্যান্য অস্ত্র চালনে ও গদা-ভ্রামণে বিলক্ষণ পারদর্শিত প্রদর্শন করিলেন। পরীক্ষা দেখিতে কুরুকুল-বধুরাও আসিয়াছিল, সকলেই অৰ্জুনের ক্ষমতা দেখিয়া চমৎকৃত হইল। পুত্রের অসাধারণ রণ-নৈপুণ্যশিক্ষা সন্দর্শনে কুন্তী অত্যন্ত আহাদিত হইলেন। পরীক্ষায় অৰ্জ্জুনের সর্বপ্রাধান্য দেখিয়া দুৰ্য্যোধন আরো ঈর্ষান্বিত হইল। বারণাবতে জতুগৃহ দাহের পর, পঞ্চপাণ্ডব অপ্রকাশে থাকিবার জন্য ব্রাহ্মণ-বেশে কিছু দিন একচক্র-নগরীতে অবস্থান করেন। এই সময়ে পাঞ্চালদেশের রাজা ক্রপদের কন্যা দ্রৌপদীর বিবাহের আয়োজন হয়। উক্ত দেশাধি