পাতা:পৌরাণিক ইতিবৃত্ত - প্রথম খণ্ড.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৪ পৌরাণিক ইতিবৃত্ত । আসিয়া বহু বিলাপ ও পরিতাপ করিতে লাগিলেন। উলুপী জহাদিগকে প্রবোধ বাকে সাৰনা করিয়া সম্বর পাতালে গিয়া কোরব্য নাগের নিকট হইতে সঞ্জীবনী মণি আনয়ন পূর্বক অর্জুনকে জীবন প্রদান করেন। তদনন্তর অর্জুন অশ্বমেধের অশ্ব লইয়া বক্তবাহনের সহিত মহা সমারোহে হস্তিনাপুরে প্রত্যাগত হন। পরে যুধিষ্ঠিরের অশ্বমেধ যজ্ঞ সমাপন হইল। কিছুদিন পরে যদুবংশ ধংস হইলে কৃষ্ণ লীলা সম্বরণ করেন, তাহাতে অৰ্জ্জুন দ্বারকাতে গিয়া সকলের ঔদ্ধদেহিক ক্রিয়া সমাপনপূর্বক কৃষ্ণের পত্নীগণকে ও কৃষ্ণের প্রপৌত্র বজ্রকে লইয়া মধুরাতে যান। পথিমধ্যে দসু্যরা অৰ্জ্জুনের প্রতি আক্রমণ করিয়া সমুদয় ধন ও কৃষ্ণের পত্নীদিগকে হরণ করে। অর্জন যুদ্ধ করিয়া রক্ষা করিতে পারিলেন না, গাওঁীব ধনুতে বাণ যোগ করিতে আর উাহার শক্তি হইল না। পরে তিনি মধুরাতে গিয়া স্কুকে রাজ্যাভিষিক্ত করিলেন। তথায় ব্যাসের সহিত সাক্ষাৎ হইলে ব্যাস র্তাহাকে দুঃখিতভাৰ দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন অৰ্জ্জুন, এক্ষণে তোমাকে বিমনা দেখিতেছি কেন ? অৰ্জ্জুন দ্যুর আক্রমণ বৃত্তাস্ত বর্ণন করিয়া কছিলেন প্রভো, আমি সেই অর্জুন, আমার সেই হস্ত, সেই গাওঁীৰ, সেই বাণ, সেই সকলই আছে, কিন্তু আমার সে ক্ষমতা কোথা গেল? লণ্ডড় লইয়া দম্বারা আমাকে অনায়াসেই পরাম্ভ করিয়া গিয়াছে, একি আশ্চৰ্য্য ব্যাপার। ব্যাস