পাতা:পৌরাণিক ইতিবৃত্ত - প্রথম খণ্ড.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$९४ পৌরাণিক ইতিবৃত্ত। উন্মত্তপ্রায় সেই কুবের-পুত্রদ্বয় তদবস্থই থাকিল, তাহাতে নারদ তাহাদিগকে এই বলিয়া শাপ দিলেন যে তোমরা বহুদিবস গোকুলে বৃক্ষ হইয়া অবস্থান কর, তাহা হইলেই তোমাদিগের গৰ্ব্ব খর্ব হইবে। হরির সান্নিধ্যে অবস্থান করাতে ভক্তিলাভ করিয়া রজ ও তমোগুণ হইতে পরিত্ৰাণ পাইবে, কৃষ্ণই তোমাদিগের শাপ মোচন করিবেন। ইহা কহিয়া নারদ নারায়ণ-ঋষির আশ্রমে গমন করিলেন। সেই অবধি উক্ত কুবেরের দুই পুত্ৰ অৰ্জ্জুন বৃক্ষ হইয়া গোকুলে অবস্থিত থাকিল। পরে তাহাদিগের উদ্ধার এইরূপে হয়, কৃষ্ণ শিশুকালে দধিভাণ্ড ভঙ্গ ও নবনীত চুরি প্রভৃতি নানা অবাধ্যতার কার্য্য করিতেন। একদ। যশোদা কৃষ্ণের উক্তরূপ দৌরাত্ম্য দৃষ্টে বিরক্ত হইয়া প্রথমে যষ্টি গ্রহণপূর্বক তাহাকে প্রহার করিতে উদ্যত হন, কিন্তু কৃষ্ণের ভীত-ভাব দর্শনে পুত্র-স্নেহে কাতরা হইয়া মারিতে পারিলেন না, উদুখলে বন্ধন করিয়া রাখিতে উদ্যোগ করিলেন। যশোদা যত রজ্জ্ব আনিয়া কৃষ্ণকে বন্ধন করেন, ততই রজু দুই আঙ্গুল অপ্রতুল হয়, কিছুতেই কুলায় না। গৃহে যত দড়ি ছিল ক্রমে সকলি আনিলেন, তথাপি দুই আঙ্গুল অনটন হইল, ইহাতে যশোদা ও গোপিকার। সকলেই বিস্ময়াম্বিত হইলেন। পরিশেষে কৃষ্ণ যশোদার পরিশ্রমে কাতরতা দেখিয়া স্বয়ং বন্ধন লইলেন। যশোদা পুত্ৰ বদ্ধ হইয়াছে দেখিয়া ওরে দুরন্ত সন্তান এখন কি করিতে পারিস কর, বলিয়া