পাতা:পৌরাণিক ইতিবৃত্ত - প্রথম খণ্ড.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩২ পৌরাণিক ইতিবৃত্ত। মতে অলমুম্বার তিনটা পুত্র, তাহাদিগের নাম বিশাল, শূন্যবন্ধু এবং ধূমকেতু। . অলক। চন্দ্রবংশীয় প্রতদনের পুত্র। ইহঁর বিষয় কথিত আছে যাট হাজার ও ষাট শত বৎসর অলৰ্ক ব্যতীত অন্য কোন যুবা রাজা পৃথিবী ভোগ করেন নাই –বিষ্ণুপুরাণ। বায়ু ও ব্রহ্মপুরাণে এবং হরিবংশেও ঐরূপ বর্ণন,প্রত্যুত ইহাও লিখিত আছে, যে লোপামুদ্রার প্রসাদে অলৰ্ক এমত দীর্ঘজীবী হন। গণেশ কাশীর প্রতি শাপ দিলে দিবোদাস কাশী পরিত্যাগ করেন, সেই সময়ে ক্ষেমক রাক্ষস তথায় গিয়া বাস করে। শাপ অবসানে এই অলৰ্ক ক্ষেমক রাক্ষসকে সংহার করিয়া ঐ নগরী পুনর্বার বাসযোগ্য করেন। মার্কণ্ডেয়পুরাণে লিখিত আছে অলকের মাতা মদালসা স্বীয় পুত্রকে ব্রহ্মবিদ্যা শিক্ষা প্রদানপূর্বক চিরজীবী হও বলিয়া আশীৰ্ব্বাদ করেন, ইহাতে তিনি অতি দীর্ঘজীবী হইয়াছিলেন। . মহাভারতে অলর্কের বিষয় এইরূপ লিখিত আছে, অলৰ্ক রাজা অতি তেজস্বী ও পরম তপস্বী ছিলেন, উাহার বলবীৰ্য অসাধারণ, তিনি ধনু মাত্র, সহায়ে সসাগর। পৃথিবী জয় করেন। অলৰ্ক একদা এক বৃক্ষমুলে উপবেশন করিয়া চিন্তা করিলেন অন্যান্য শত্ৰু জয় করিলে কি হইবে। মন, ভ্রাণ, জিছা, ত্বক, শ্রোত্র, চক্ষু ও বুদ্ধি এই সাতটা আন্তরিক শত্রু জয় করি ;