পাতা:পৌরাণিক ইতিবৃত্ত - প্রথম খণ্ড.pdf/১৬৭

Σύω পৌরাণিক ইতিবৃত্ত। ছায়াকে সত্য করিয়া পরিচয় দিতে কহিলে ছায়া শাপ ভয়ে যথার্থ কথা কহিলেন, প্রভো! আমি সংজ্ঞা নহি, র্তাহার প্রতিনিধি স্বরূপে আছি, তিনি আমাকে নিজ শরীর হইতে উৎপন্না করিয়া এস্থানে রাখিয়া পিতৃ-গৃহে গিয়াছেন। সুর্য তাছা শুনিয়া বিশ্বকৰ্ম্মার বাটতে চলিলেন। সংজ্ঞা যখন সুর্ঘ্যকে পরিত্যাগ করিয়া পিতার বাটতে যান, তখন র্তাহার পিতা বিশ্বকৰ্ম্ম উাহার প্রতি ক্রুদ্ধ হইয় কহিয়াছিলেন, তুমি পতিসেবা পরিত্যাগ করিয়া স্বেচ্ছাচারিণী হইয়া আসিয়াছ, আমি তোমার মুখাবলোকন করিতে চাছি না। সংজ্ঞা পিতার কথা শুনিয়া অভিমানে সে স্থান পরিত্যাগ করিলেন, এবং উত্তর-কুরু-বর্ষে গিয়া অশ্বিনীরূপ ধারণপূর্বক ভ্রমণ করিতে লাগিলেন। সূর্য বিশ্বকার মালয়ে সংজ্ঞাকে না পাইব্যু যোগদ্বারা জানিলেন তিনি উত্তরকুরু-বর্ষে অশ্ব-শরীর ধারণ করিয়া প্রচ্ছন্ন আছেন, অতএব সুর্য্যও অশ্বরূপ ধারণপূর্বক সে স্থানে গমন করিলেন। তথায় কিছু দিন ঐ অশ্বিনী সহ একত্র অবস্থান করায় তাহার গর্ভে সুর্যের যমজ দুইটা পুত্র জন্মে, উাহাদিগেরই নাম অশ্বিনীকুমার হইল। ইহঁরা দুইটা একাকৃতি, এবং নিয়ত একত্র অবস্থান করিতেন, কখনই পৃথক কোথায় থাকিতেন না। ইহার চিকিৎসা বিদ্যায় অত্যন্ত সুপণ্ডিত, স্বর্গে ইহঁীরা চিকিৎসা করাতে স্বর্বৈদ্য এই উপাধি প্রাপ্তহন।—মহাভারত। বিষ্ণুপুরাণমতে উত্তর কুরু-প্রদেশে সংজ্ঞার গর্ভে দুইজন