পাতা:পৌরাণিক ইতিবৃত্ত - প্রথম খণ্ড.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১• পৌরাণিক ইতিবৃত্ত। ' অতিথি হইলে জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ইল্বল কনিষ্ঠ ৰাতাপিকে মেষ করিয়া তাহাকে বধপূর্বক তন্মাংস রন্ধন করত অতিথিকে । ভক্ষণ করাইত। পরে ঐ বাতাপিকে আহ্বান করিলে মৃতসঞ্জীবনী-বিদ্যার প্রভাবে সে জীবিত হইয়া অতিথির উদর বিীর্ণ করিয়া বহির্গত হইত, তাহাতে অতিথির মৃত্যু হওয়ায় ঐ ভ্রাতাদ্বয় তাহার মাংস ভক্ষণ ও তাহার ধন হরণ করিত। মহর্ষি অগস্ত্য উক্ত রাক্ষসদিগের নিকটে গিয়া অতিথি হইলেন। রাক্ষসেরা পূৰ্ব্বোক্তরূপে উাহাকে আতিথ্য প্রদান করিল,পরে অগস্ত্য মেষরূপধারি বাতাপির মাংস সমুদয় ভক্ষণ করিয়া তপঃপ্রভাবে জঠরানলে একেবারে জীর্ণ করিয়া ফেলিলেন। ইম্বল পূর্ববং বাতাপি বলিয়া ডাকিলে অগস্ত্য কহিলেন, আমার জঠরে সে জীর্ণ হইয়াছে,আর বাহির হইবে না ; তোমাদিগের দুরাত্মতা আজই দূরীকৃত হইল। রাক্ষস তাহ শুনিয়া ক্রোধে তাছাকে বাহুবলে বিনাশ করিতে উদ্যত হইল,কিন্তু অগস্ত্যের হুঙ্কারস্বনিতে সে অমনি ভস্মাবশেষিত হইয়া গেল। পরে অগস্ত্য তাহাদিগের সঞ্চিত প্রচুর ধন গ্রহণপূর্বক লোপামুদ্রাকে আনিয়া দিলেন। অগস্ত ঋষি তাড়কার স্বামি মুদকেও কোন অপরাধে বিনাশ করিয়াছিলেন। এই অগস্ত্য বিন্ধীগিরির গুরু ছিলেন। বিন্ধ্য, বলে উন্মত্ত হইয়া স্বশরীর বিস্তার পূর্বক সুৰ্য্যপথ শরণাগত হন। তাছাতে অগস্ত্য বিন্ধের নিকটে গমন