পাতা:পৌরাণিক ইতিবৃত্ত - প্রথম খণ্ড.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१ পৌরাণিক ইতিবৃত্ত । গর্ভজাত । অঙ্গদ যে মহাবল পরাক্রান্ত বীরচূড়ামণি রামরাবণের যুদ্ধে তাহা প্রকাশ আছে।—অধ্যায় রামায়ণ ও বাল্মীকি রাসুয়ণ। পরন্তু মহানাটক নামক সংস্কৃ নাটকে অঙ্গদের বলদৰ্প অতি অদ্ভূতরূপেই লিখিত হইয়াছে। রাম সমুদ্রপার হইয়া লঙ্কাতে শিবির সংস্থাপিত করত প্রথমতঃ এই অঙ্গদকেই রাবণ সমীপে দৌত্যকার্য্যে প্রেরণ করেন, অঙ্গদ গমন করিয়া রাক্ষসসভামধ্যে সিংহাসনে উপবিষ্ট পরম প্রতাপান্বিত রাজ রাবণের নিকটে গিয়া বসিল। রাবণ বানরের তাদৃশ সাহস সন্দর্শনে আশ্চর্যাম্বিত হইয়া জিজ্ঞাসিলেন, তুই কে ? অঙ্গদ কহিল, আমি ত্রিভুবনবিজয়ী জানকীপতি শ্রীরামের দৃত। রাবণ উপেক্ষা করিয়া কহিলেন, রাম কে ? অঙ্গদ উত্তর করিল, যিনি তোমার ভগিনী সুপনথার নাসিক ছেদন করিয়াছেন । রাবণ লজ্জিত ভাবে পুনজিজ্ঞাসা করিলেন, তোর নাম কি ? এবং তোর পিতার নাম কি? অঙ্গদ বলিল আমি বালিতনয়, আমার নাম অঙ্গদ। রাবণ আবার জিজ্ঞাসা করিলেন, বালি কে? কৈ আমিতে তাহাকে চিনি না, তখন অঙ্গদ হাস্য করিয়া কহিল, যে মহাত্মা তোমাকে লাঙ্গুলে বদ্ধ করিয়া চতুঃসমুদ্রে সন্ধ্যা করিয়া বেড়াইয়া ছিলেন, এক্ষণে উাহাকে কি তুমি বিস্মৃত হইয়াছ ? অঙ্গদের এই উত্তর শুনিয়া রাজ রাবণ অপ্রস্তুত হইয়া অধোবদনে রহিলেন। লৌকিক প্রবাদ এরূপ, এই অঙ্গদ দ্বাপর যুগে ব্যাধ