পাতা:পৌরাণিক ইতিবৃত্ত - প্রথম খণ্ড.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিক ইতিবৃত্ত। ২৫ অজ। স্বৰ্য্যবংশীয় রাজাবিশেষ। ইনি রঘুর পুত্ৰ এবং দশরথের পিতা –বিষ্ণু বায়ু লিঙ্গ ও কুৰ্ম্মপুরাণ। পরন্তু ভাগবতে অজ পৃথুশ্রবার পুত্র বলিয়া লিখিত আছে। মৎস্যপুরাণে আবার অজকে দিলীপের পুত্র বলা হইয়াছে, এবং দশরথের পিতার নাম অজপাল বলিয়া নির্দেশ আছে। বাল্মীকি রামায়ণের মতে অজ নাভাগার পুত্র, পরন্তু অধ্যাত্মরামায়ণে অঙ্গ রঘুর পুত্র উক্ত আছে। রঘুবংশ কাব্যে এরূপ বর্ণিত আছে, যে দীপহইতে যেমন অন্য একটা দীপ প্রজ্বলিত হইয়া পূৰ্ব্ব দীপেরই অনুরূপ হয়, রঘু হইতে অজও সেইরূপ রঘুর তুল্য প্রবল প্রতাপান্বিত হইয়াছিলেন। রঘু দিগ্বিজয় করিয়া পৃথিবীস্থিত সমুদয় রাজলোক ও বীর-পুরুষদিগকে একান্ত বশীকৃত করিয়া যান, সুতরাং অজ-রাজাকে পরে আর যুদ্ধ বিগ্ৰহ করিতে হয় নাই। রঘু সত্ত্বে কেবল একবার র্তাহার রণপাণ্ডিত্য প্রকাশ পাইয়াছিল । যেকালে বিদর্ভদেশাধিপতির ভগিনী ইন্দুমতীর স্বয়ংবর হয়, অজ সেই সভাতে গিয়াছিলেন ; ইন্দুমতী তাহারই গলে বরমাল্য প্রদান করে। আজ তাহাকে বিবাহ করিয়া স্বদেশীভিমুখে চলিলেন। সভাগত অপরাপর রাজারা ঈর্ষাপূর্বক ইন্দুমতীকে হরণ করিয়া লইবার অভিপ্রায়ে অজকে পথিমধ্যে অবরোধ করে, কিন্তু তাহীদের সে অভিলাষ সুসিদ্ধ হইল না, যুদ্ধ আরম্ভ হইলে রাজকুমার আজ একাকী অসাধারণ রণপাণ্ডিত্য প্রকাশ করিয়া শত্রুদিগের সৈন্য