পাতা:পৌরাণিক ইতিবৃত্ত - প্রথম খণ্ড.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१४) পৌরাণিক ইতিবৃত্ত। ংহার করিতে লাগিলেন। পরে পরাজিতপ্রায় রাজার সকলে একত্র হইয়। অন্যায়রুপে যুদ্ধ করত অজকে সংহার করিতে উদ্যত হইল। আজ তখন বিপদে পতিত হইলেন, কিন্তু সে বিপদ অধিক কাল থাকিল না। তিনি যখন স্বয়ম্বর-সমাজে আগমন করেন, নৰ্ম্মদা নদীতে প্রিয়ম্বদ নামক গন্ধৰ্ব্বকুমার মতঙ্গমুনির শাপে হস্তিরূপে অবস্থিত ছিল, অজের সৈন্যশিবিরের প্রতি সে হঠাৎ আসিয়া দৌরাত্ম্য করে, পরে অজ বাণক্ষেপ পূর্বক তাহার কুম্ভদেশ বিদ্ধ করিয়াছিলেন, তাহাতে হস্তিরূপী গন্ধৰ্ব্ব শাপ মুক্ত হওয়াতে হস্তিরূপ পরিত্যাগ পূর্বক গন্ধৰ্ব্ব শরীর প্রাপ্ত হইয় অজকে মিত্ৰ সম্বোধন করিয়াছিলেন এবং প্রস্বাপন নামে গান্ধৰ্ব্ব অস্ত্রও প্রদান করিয়াছিলেন। সেই অস্ত্র অজের হস্তে ছিল, তাহা স্মরণ হওয়াতে অজ শক্রগণের প্রতি তাহা ক্ষেপ করিলেন, অস্ত্র প্রভাবে সকল শক্রদল অমনি চিত্রপটের ন্যায় অচৈতন্য হইয়া রণস্থলেই নিদ্রা যাইতে লাগিল। আজ তখন তাহাদিগের প্রধান প্রধান কয়েক জনের দ্বজপটে রণরক্তে লিখির দিলেন যে রঘুনন্দন অজ তোমাদিগের বীরত-গৰ্ব্ব খৰ্ব্ব করিলেন, কেবল দয়া করিয়া জীবনে মারিলেন না। এইরূপে অঙ্গ অত্যন্ত বীরকার্য সম্পন্ন করিয়া ইন্দুমতীকে গৃহে আনয়ন করিয়াছিলেন। পরে পিতৃদত্ত রাজ্যে অভিষিক্ত হইয়৷ কিছুকাল রাজ্য করেন, অনন্তর উাহার ঔরসে ইন্দুমতীর গর্ভে দশরথের জন্ম হয়।