পাতা:পৌরাণিক ইতিবৃত্ত - প্রথম খণ্ড.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিক ইতিবৃত্ত। "ל כ\ হইতে বিনিঃস্থত –বিষ্ণুপুরাণ, অথবা লিঙ্গ কুৰ্ম্ম,পদ্ম ও মার্কণ্ডেয় পুরাণ। পরন্তু ভাগবতে লিখিত আছে অথর্ব বেদ ব্ৰহ্মার পূর্বদিগের মুখ হইতে বহির্গত। বিষ্ণুপুরাণে অন্যত্র আবার লিখিত আছে প্রথমে যজুর্নামে একই বেদ ছিল, পরে দ্বাপরযুগে ব্রহ্মার আজ্ঞায় ব্যাস তাহ চারিভাগে বিভক্ত করেন, করিয়া পৈলকে ঋগবেদ, বৈশম্পায়নকে যজুর্বেদ, জৈমিনিকে সামবেদ, এবং সুমন্তকে অথৰ্ব্ববেদ শ্রবণ করাইতে নিযুক্ত করিলেন। সুমন্তু মুনি এই বেদ নিজ শিষ্য কবন্ধকে শিখাইলেন। তিনি আবার তাহা দুই অংশে বিভক্ত করিয়া এক অংশ দেবদর্শকে, অন্য অংশ পথ্যকে দিলেন। মোঁদগ, ব্রহ্মাবলি, শোকায়নি এবং পিপলাদ নামে দেবদশের চারি জন শিষ্য ছিলেন, এবং জাজলি, কুমুদাদি, ও শৌনক নামে পথ্যেরও তিন জন শিষ্য ছিলেন, ইহার প্রত্যেকে এক এক সংহিতা প্রণয়ন করেন। শৌনক আবার তাহার সংহিতা দুই ভাগে বিভক্ত করিয়া এক ভাগ বভ্রকে,অপর ভাগ সৈন্ধবায়নকে দিয়াছিলেন। তাছাতে সৈন্ধব ও মুঞ্জকেশনামে দুইটা শাখা হইয়াছে। গ্রন্থান্তরে দৃষ্ট হয়, সুমন্ত অথৰ্ব্ববেদ নিজশিষ্য কবন্ধকে শিখান, কবন্ধ তাহা দুইভাগ করিয়া এক ভাগ দেবদর্শকে অপর ভাগ পথ্যকে দেন। দেবদর্শ যে ভাগ প্রাপ্ত হন তাহা হইতে আবার দেবদশী ও পৈপলাদী নামে দুইটী শাখা হয়, এবং পথ্যের শিষ্য যে শৌনক

  • বিষ্ণুপুরাণের অপর স্থানে (২ খণ্ডের ১১ অধ্যায়ে ) ঋক্, যজুঃ ও সমি এই তিনট মাত্র বেদের উল্লেখ আছে । ,