পাতা:পৌরাণিক ইতিবৃত্ত - প্রথম খণ্ড.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 8 পৌরাণিক ইতিবৃত্ত। ইহার বেদ বিভাগ করেন যথা—স্বয়ম্ভু, প্রজাপতি, উশনা, বৃহস্পতি, সবিতা, মৃত্যু, ইন্দ্র, বশিষ্ঠ, সারস্বত, ত্রিধামা, ত্রিরষা, ভরদ্বাজ, অন্তরীক্ষ, বগ্র, এয্যারুণ, ধনঞ্জয়, কৃতঞ্জয়, ঋণ, ভরদ্বাজ, গোতম, উত্তম, বেণ অথবা রাজশ্রব, তৃণবিন্দু, ঋক্ষ অথবা বাল্মীকি, শক্তি, পরাশর, জরৎকারু এবং কৃষ্ণদ্বৈপায়ন –বিষ্ণু পুরাণ তথা বায়ু ও কুৰ্ম্মপুরাণ। অন্তরীক্ষ। ইক্ষুকু বংশীয় কিন্নরের পুত্ৰ –বিষ্ণুপুরাণ ভাগবতে কিন্নরের পরিবর্তে পুষ্কর লিখিত আছে। অন্তঃশিলা। নদী বিশেষ। এই নদী বিন্ধ্যপর্বত হইতে নিঃস্থত, ইহার অপর নাম অন্ত্রশিলা –ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ তথা মহাভারত। অন্ধ । জাতি বিশেষ ও দেশ বিশেষ —মহাভারত । এই শব্দ কোন কোন পুঁথিতে অধ্য, অন্ত্য এবং অন্ধু বলিয়াও লিখিত আছে। সবিশেষ অন্ধশব্দে দ্রষ্টব্য। অন্ধক। মুনি বিশেষ। বাল্মীকিরামায়ণে, অধ্যাত্মরামায়ণে এবং রঘুবংশে এক অন্ধমুনির বিষয় বর্ণিত আছে। রাজা দশরথ মৃগয়া করিতে গিয়া সেই অন্ধমুনির সিন্ধুক নমিক শিশু সন্তানকে ভ্ৰমে বধ করিয়া শাপগ্রস্ত হন। লৌকিক প্রবাদ, এই অন্ধমুনিরই নাম অন্ধক। পরন্তু ক্টাহীর নামই যে অন্ধক, অথবা অন্ধ হওয়াতে লোকে উাহাকে অন্ধক কহে ঐ দুই রামায়ণে এবং রঘুবংশে । তাহার কোন স্পষ্ট প্রমাণ নাই।