পাতা:পৌরাণিক ইতিবৃত্ত - প্রথম খণ্ড.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিক ইতিবৃত্ত । কেতু, অশ্বকেতু ও কুঞ্জরকেতুকে রণশায়ী করিয়া দুঃশাসনের পুত্র উলুককে বধ ও মন্ত্ররাজাকে পরাস্ত করিলেন। পরে শত্রুঞ্জয়, চন্দ্রকেতু, মহামেঘ, সুবর্চ ও সুর্য্যভাম এই পাঁচটা বীরকেও বিনাশ করিয়া শকুনিকে বাণ প্রহারে জর্জরিত করিতে লাগিলেন, তাহাতে শকুনি ও কর্ণ রাজা দুৰ্য্যোধনকে কহিল, মহারাজ! এক্ষণে সকলে একত্র হইয়াই অভিমনুকে বিনাশ করা কর্তব্য, নতুবা এক এক করিয়! আমাদিগের সকলকেই ও সংহার করিবে সন্দেহ নাই। অনন্তর দুৰ্য্যোধনের আদেশে একেবারে সপ্তরথীতে মিলিয়া অভিমনু্যর প্রতি অস্ত্রক্ষেপ করিতে লাগিলেন। কর্ণ র্তাহার ধনুক ছেদ করিলেন, ভোজ অশ্ব ংহার করিলেন, রূপ সারথির মস্তক ছেদন করিলেন, চতুর্দিক হইতে অভিমত্যুর উপর অস্ত্রবৃষ্টি হইতে লাগিল, সেই অস্ত্রে ক্ষত বিক্ষত হইয়া উtহার গাত্রে রক্তধারা বহিতে লাগিল। সে অবস্থাতেও অভিমনু পাদচারে খড়গ, গদা, রথচত্র, ও মুষ্টির প্রহারে অনেক সৈন্য সংহার করিলেন। পরিশেষে দুঃশাসনের পুঞ্জের সহিত গদাযুদ্ধ আরম্ভ হইল, গদাযুদ্ধ করিতে করিতে অভিমন্যুর পদ হঠাৎ বিচলিত হইয়া গেল। তিনি যেমন উঠিবেন, দুঃশাসনের পুত্র অমনি তাহার মন্তকে গদার আঘাত করিল সেই আঘাতেই অভিমনু প্রাণত্যাগ করিলেন। অভিমত্যুর বধ সংবাদ শ্রবণে পাগুবদিগের পরিতাপের পরিসীমা রহিল না, যুধিষ্ঠিরাদি সকলেই