পাতা:পৌরাণিক ইতিবৃত্ত - প্রথম খণ্ড.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌরাণিক ইতিবৃত্ত। ११ পরাজিত করিল। দেবতারা অসুরগণের নিকটে পরাজিত হইয়া হুতাশনকে অগ্রসর করিয়া ব্ৰহ্মার শরণাপন্ন হইলেন, ব্ৰহ্ম উাহাদিগকে সঙ্গে লইয়া ক্ষীরোদশায়ী বিষ্ণুর নিকটে গিয়া নানা প্রকার স্তব করিতে লাগিলেন। স্তবে তুষ্ট হইয়া বিষ্ণু কহিলেন আমি তোমাদিগের তেজ বৃদ্ধি করিয়া দিতেছি, তোমরা অসুরদিগের সহিত মিলিয়া ক্ষীর সমুদ্রে সর্বপ্রকার ওষধি নিক্ষেপ কর, পরে মন্দর পর্বতকে মন্থন-দণ্ড ও বাস্তকিকে রঞ্জু করিয়া সমুদ্ৰ-মন্থন কর, অসুরদিগের সাহায্য লইবার নিমিত্ত তাহাদিগকে কহিবে যে, তোমরাও অম্বতের সমান ভাগ পাইবে এবং তাহ পান করিয়া তোমরাও অমর হইতে পারবে। পরন্তু অসুরেরা কেবল পরিশ্রমেরই ভাগী হইবে, তাহারা যাহাতে অমৃতপান করিতে না পায় তাহার উপায় আমি করিব। বিষ্ণুর এই পরামর্শানুসারে দেবগণ দৈত্য দানব দিগের সহিত সন্ধিস্থাপন করিয়া নানাবিধ ওষধি আনয়ন পূর্বক ক্ষীর সমুদ্রে নিক্ষেপ করিলেন। পরে মন্দরকে দও ও বাসুকিকে রজু করিয়া সমুদ্ৰ-মন্থনে প্রবৃত্ত হইলেন। প্রথমে দেবতারা সপের মুখের দিক্‌ ধরিতে যান, তাহাতে অসুরের কহিল, আমরা মুখের দিক ধরিব, অমঙ্গল সপের পুচ্ছদেশ আমরা কদাচ ধরিতে পারিব না। বিষ্ণু তাহ শুনিয়া সহাস্তবদনে দেবতাদিগকে পুচ্ছ ধরিতে বলিলেন, দেবতারা পুচ্ছ ও অস্তুরের মুখের দিক্ৰ ধরিল, মন্থন আরম্ভ হইল। বাসকির নিশ্বাস সহ ।