পাতা:পৌরাণিক ইতিবৃত্ত - প্রথম খণ্ড.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vo পৌরাণিক ইতিবৃত্ত। নাম শিবা, ভদ্র, শান্ত, ক্ষেমা, অমৃতা, অমৃত্তা এবং অভয়া। পরন্তু বিষ্ণুপুরাণ মতে এই সপ্ত নদীর নাম অনুতপ্ত, শিখী, বিপাশা, ত্ৰিদিবা, ক্রমু, অম্বত ও সুকুত । অমোঘ। শান্তনুঞ্চষির পত্নী। ইনি ব্রহ্মপুত্র নদের জননী। কালিকাপুরাণে লিখিত আছে, ব্রহ্ম একদ। ংসারূঢ় হইয়া ভ্রমণ করত শান্তনুখষির আশ্রমে উপস্থিত হন, ঋষি তৎকালে বনে গিয়াছিলেন ; অমোঘ। একাকিনী আশ্রমে ছিলেন । ব্রহ্ম। তাহার রূপলাবণ্য নিরীক্ষণে মুগ্ধ হইয়া অভিলাষ প্রকাশ করেন। তাহাতে অমোঘ ক্রোধাম্বিত হইয়া ব্রহ্মাকে শাপ দিতে উদ্যত হন। ব্রহ্মা ভয়ে কম্পান্বিত হইয়া যেমন পলাইবেন, আমনি তাহার করহাটক তুল্য তেজ আশ্রম দ্বারে ভূতলে পতিত হইল। পরে শান্তনু আশ্রমে আসিলে অমোঘ তাহাকে তাবৎ বৃত্তান্ত কহিলেন। তাহাতে শান্তনু উত্তর করিলেন ব্রহ্মার অভিলাষে তোমার অনভিমতি প্রকাশ ভাল হয় নাই, ইত্যাদি। অনন্তর সেই তেজ* সম্পকে অমোঘার গৰ্ত্ত হয় এবং প্রসবকাল উপস্থিত হইলে জলরাশি সহ একটা পুত্র ভূমিষ্ঠ হয়, ঐ পুত্র ব্রহ্মার সদৃশ। শান্তনু তদর্শনে একটা কুগু করিয়া তন্মধ্যে পুত্রসহ ঐ জল রাখেন ; পরে ঐ কুণ্ডের জল প্রবৃদ্ধ হইয়া ক্রমে পাতাল পর্যন্ত প্রবেশ করে। ঐ কুণ্ডের নাম ব্রহ্মকুণ্ড এবং ঐ কুণ্ড হইতে যে নদ নির্গত হয় তাহার নাম ব্ৰহ্মপুত্র। x • ক্রহ্মপুত্ৰ মদের উৎপত্তির লবিশেষ বিবরণ কালিকাপুরাণে আছে, কিন্তু জ্ঞাছ প্রকাশযোগ্য নহে । - -