পাতা:পৌরাণিক ইতিবৃত্ত - প্রথম খণ্ড.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b*8 পৌরাণিক ইতিবৃত্ত। অনুরোধ জানাইলেন । দুৰ্ব্বাস তাহা স্বীকার পূর্বক যমুনাতে স্নান করিতে গমন করিলেন, কিন্তু আসিতে বিলম্ব হইতে লাগিল। রাজা চিন্তা করিলেন দুৰ্ব্বাসাকে নিমন্ত্রণ করা হইয়াছে, ভোজন না করাইয়া কি রূপে স্বয়ং পারণা করি, কিন্তু আবার দ্বাদশী অপেক্ষণু মাত্র অাছে, দ্বাদশী পরিত্যাগ করাই বা কিরূপে হইতে পারে। রাজা অম্বরীষ বহু বিবেচনার পর ব্রাহ্মণদিগের ব্যবস্থা লইয়া কিঞ্চিৎ জল মাত্র পান করিলেন, যেমন জলপান করিলেন এমন সময়েই দুৰ্ব্বাস আসিয়া উপস্থিত। রাজা অগ্রে ভোজন করিয়াছেন তিনি যোগ দ্বারা ইহা জানিয়া অত্যন্ত ক্রোধাম্বিত হইলেন, ক্রোধে একেবারে তিনি জ্বলিয়া উঠিয়া কছিলেন, আরে দুরক্তি! আমি ব্রাহ্মণ, অতিথি, আমাকে নিমন্ত্রণ করিয়া ভোজন না করাইয়া স্বয়ং ভোজন করিয়াছিল্, দুরাত্মা ! এই তোকে প্রতিফল দি বলিয়া ক্রোধে আপনার মস্তকের একটা জটা ছিড়িয়া ফেলিলেন। তৎক্ষণাৎ তাহা হইতে একটা উগ্রদেবতা জন্মিল, সে অতি ভয়ানক, কালানল তুল্য। ঐ দেবতা খড়গ হস্তে রাজার প্রতি ধাবমান হইলেও রাজা শরীর বিনশ্বর ভাবিয়া ভীত হইলেন না, সেই স্থানেই কৃতাঞ্জলিপুটে দণ্ডায়মান রছিলেন। এমন সময়ে সুদর্শন চক্র আবির্ভূত হইয়৷ সেই উগ্র দেবতাকে ভস্মসাৎ করত দুৰ্ব্বাসার প্রতি ধাবমান হইল, দেখিয়৷ দুৰ্ব্বাসা পলায়ন করিলেন, চক্রও উtহাকে সংহার করিতে চলিল। দুৰ্ব্বালা ক্রমে সুমেরু