পাতা:প্রজাপতির নির্বন্ধ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রজাপতির নির্ব্বন্ধ।
১৪৩

য়ানদের মধ্যে একটা পঞ্চায়েৎ করবার চেষ্টায় প্রবৃত্ত আছি। ঐমতা নির্ম্মলা আকস্মিক অপঘাতের আশু চিকিৎসা এবং রোগীচর্য্যা সম্বন্ধে রামরতন ডাক্তার মহাশয়ের কাছ থেকে নিয়মিত উপদেশ লাভ করছেন ―ভদ্র লোকদের মধ্যে সেই শিক্ষা ব্যাপ্ত করবার জন্যে তিনি দুই একটি অন্তঃপুরে গিয়ে শিক্ষাদানে নিযুক্ত হয়েছেন। এইরূপে প্রত্যেক সভ্যের স্বতন্ত্র ও বিশেষ চেষ্টায় আমাদের এই ক্ষুদ্র কুমার সভা সাধারণের অজ্ঞাতসারে ক্রমশই বিচিত্র সফলতা লাভ করতে থাক্‌বে এ বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নাই।

 শ্রীশ। ওহে বিপিন, আমার কাজ ত আমি আরম্ভও করি নি।

 বিপিন। আমারও ঠিক সেই অবস্থা।

 শ্রীশ। কিন্তু করতে হবে।

 বিপিন। আমাকেও করতে হবে।

 শ্রীশ। কিছুদিন অন্য সমস্ত আলোচনা ত্যাগ না করলে চল্‌চে না।

 বিপিন। আমিও তাই ভাবছি।

 শ্রীশ। কিন্তু অবলাকান্ত বাবুকে ধন্য বলতে হবে—উনি যে কখন্ আপনার কাজটি করে যাচ্ছেন কিছু বোঝবার জো নেই।

 বিপিন। তাই ত বড় আশ্চর্য্য! অথচ মনে হয় যেন ওঁর অন্যমনস্ক হবার বিশেষ কারণ আছে।

 শ্রীশ। যাই ওঁর সঙ্গে একবার আলোচনা করে আসিগে।

(শৈলের নিকট গমন)

 পূর্ণ। রসিকবাবু আপনাকে কি বলে ধন্যবাদ জানাব?

 রসিক। কিছু বলবেন না, আমি এমনি বুঝে নেব। কিন্তু সকলে আমার মত নয় পূর্ণবাবু―আন্দাজে বুঝবে না, বলা কওয়ার দরকার।

 পূর্ণ। আপনি আমার অন্তরের কথা বুঝে নিয়েছেন রসিকবাবু―