রসিক। কিন্তু কি করবেন?
বিপিন। যদি বলেন ত সেই ছেলে দুটোকে পথের মধ্যে―
রসিক। বুঝেছি। সেটা মনে করলেও শরীর পুলকিত হয়। কিন্তু বিধাতার বরে অপাত্র জিনিষটা অমর―দুটো গেলে আবার দশটা আস্বে।
বিপিন। এদের দুটোকে যদি ছলে বলে কিছুদিন ঠেকিয়ে রাখতে পারি তাহলে ভাব্বার সময় পাওয়া যাবে।
রসিক। ভাববার সময় সঙ্কীর্ণ হয়ে এসেছে। এই শুক্রবারে তারা মেয়ে দেখ্তে আস্বে।
বিপিন। এই শুক্রবারে?
শ্রীশ। সে ত পর্শু।
রসিক। আজ্ঞে পর্শুই ত বটে—শুক্রবারকে ত পথের মধ্যে ঠেকিয়ে রাখা যায় না।
শ্রীশ। আচ্ছা আমার একটা প্ল্যান্ মাথায় এসেছে।
রসিক। কি রকম, শুনি!
শ্রীশ। সেই ছেলে দুটোকে বাড়ির কেউ চেনে?
রসিক। কেউ না।
শ্রীশ। তারা বাড়ি চেনে?
রসিক। তাও না।
শ্রীশ। তাহলে বিপিন যদি সেদিন তাদের কোন রকম করে আট্কে রাখতে পারেন আমি তাদের নাম নিয়ে নৃপবালাকে―
বিপিন। জানই ত ভাই, আমার কোন রকম কৌশল মাথায় আসে না—তুমি ইচ্ছে করলে কৌশলে ছেলে দুটোকে ভুলিয়ে রাখতে পারবে― আমি বরঞ্চ নিজেকে তাদের নামে চালিয়ে দিয়ে নীরবালাকে―
রসিক। কিন্তু মশায়, এ স্থলে ত গৌরবে বহুবচন খাট্বে না―