পুরবালার প্রবেশ।
আয়, তোদের সাজিয়ে দিইগে!
নীর। আমরা সাজব না!
পুর। ভদ্রলোকের সামনে এই রকম বেশেই বেরোবি? লজ্জা করবে না?
নীর। লজ্জা করবে বৈ কি দিদি―কিন্তু সেজে বেরতে আরো বেশী লজ্জা করবে।
অক্ষয়। উমা তপস্বিনী বেশে মহাদেবের মনোহরণ করেছিলেন; শকুন্তলা যখন দুষ্যন্তের হৃদয় জয় করেছিল তখন তার গায়ে একখানি বাকল ছিল, কালিদাস বলেন সেও কিছু আঁট হয়ে পড়েছিল, তোমার বোনেরা সেই সব পড়ে সেয়ানা হয়ে উঠেছে, সাজতে চায় না!
পুর। সে সব হল সত্যযুগের কথা। কলিকালের দুষ্যন্ত মহারাজারা সাজসজ্জাতেই ভোলেন।
অক্ষয়। যথা―
পুর। যথা তুমি। যেদিন তুমি দেখতে এলে মা বুঝি আমাকে সাজিয়ে দেন নি?
অক্ষয়। আমি মনে মনে ভাবলেম, সাজেও যখন একে সেজেছে তখন সৌন্দর্য্যে না জানি কত শোভা হবে!
পুর। আচ্ছা তুমি থাম, নীরু আয়!
নীরু। না ভাই দিদি―
পুর। আচ্ছা সাজ নাই করলি চুল ত বাঁধতে হবে।
অক্ষয়।
(গান)
অলকে কুসুম না দিয়ো,
শুধু, শিথিল কবরী বাঁধিয়ো!