পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సly ঘটকগণের মতে বিক্রমাদিত্য ১৫১৪ শাক হইতে ১৫১৯ পর্য্যস্ত যশোরে রাজত্ব করিয়াছিলেন। ১৫১৯ শকে র্তাহার রাজত্বের অবসান হইলে, ঐ সময়ে অর্থাৎ ১৫৯৭ খৃঃ অন্ধে তাহার মৃত্যু স্থির করিতে হয়। কিন্তু নানা কারণে স্থির হয় যে, বিক্রমাদিত্য জীবিত থাকিতে প্রতাপ স্বাধীন ভাবে কোনই কার্য্য করেন নাই । আমরা জানিতে পারি যে, আজিমখার সুবেদারী সময়ে প্রতাপাদিত্য আপনার স্বাধীনতার পরিচয় দিয়াছিলেন। আজিম খাঁ ১৫৮২ হইতে ১৫৮৪ খৃঃ অব পৰ্য্যন্ত বাঙ্গলার সুবেদার ছিলেন। সুতরাং তাহার পূৰ্ব্বেই বিক্রমাদিত্যের মৃত্যুকাল স্থির করিতে হয়। বিক্রমাদিত্যের মৃত্যুর পর ধূমঘাটের পুরী নিৰ্ম্মাণ শেষ হইলে, প্রতাপ যশোরপুরী হইতে তথায় গমন করেন, এবং তথায় তাহার রাজ্যাভিষেক হয়। বসন্তরায়ের সভাপণ্ডিত ও গুরু শ্ৰীকৃষ্ণ তর্কপঞ্চানন * বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে যথাশাস্ত্র তাহার অভিষেকক্রিয়া সম্পাদন করেন। কোন অন্ধে প্তাহার রাজ্যাভিযেক হইয়াছিল, তাহ স্থির করা কঠিন। তবে বিক্রম’দিত্যের মৃত্যুর পর ১৫৮২ খৃঃ অব্দে বা তাহার নিকটবৰ্ত্তী কোন সময়ে তিনি অভিষিক্ত হইয়া থাকিবেন । ফলতঃ তাহ সহজে নির্ণয় করা যায় না। রাজ্যাভিষেকের পর হইতে প্রতাপ আপনাকে স্বাধীন বলিয়া ঘোষণা করেন, এবং সেই সময় হইতে র্তাহার স্বাধীনতার পরিচয় পাওয়া যায়। আমরা পরে তাহার উল্লেখ করিতেছি। ধূমঘাটে রাজধানী স্থাপন করিয়া প্রতাপাদিত্য যশোর রাজ্যের অধি প্রতাপের রাজ্য ভিষেক ।

  • (৫৬) টিল্পনী দেখ। কেহ কেহ ইহাকে কমল তর্কপঞ্চানন বলিয়াছেন মুল ২৮৬ পৃঃ দেখ।