পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৩ আগর গমনের অর্থাৎ ১৫৯২ খৃঃ অব্দে র্তাহার বয়স দ্বাদশ বৎসর ছিল ইহাই অনুমান করিয়া থাকি। তাহা হইলে ১৫৮০ খৃঃ অব্দে কচুরায়ের জন্ম হয় ও প্রতাপাদিত্যের পতনের সময় তাহার ২৬ বৎসর বয়ঃক্রম হইয়াছিল, এইরূপই অনুমান হইয়া থাকে। কচুরায় যে ইশাখার নিকট অবস্থিতি করিয়াছিলেন, তাহার নাম খাজা ইশাখা লোহানী একথা পূৰ্ব্বে উল্লেখ করা হইয়াছে। , কেহ কেহ কত্রাভূর ইশাখা মসনদ আলির নিকট কচুরায়ের উপস্থিতির কথা বলিয়া থাকেন। কিন্তু তাহ যুক্তিযুক্ত বলিয়া বোধ হয় না। রামরাম বস্তু মহাশয় তাহাকে দক্ষিণ দেশীয় ইশাখ মসন্দরী বলিয়াছেন। কিন্তু তিনি আবার তাহাকে হিজলীর অধিপতি বলিয়াও নির্দেশ করিয়াছেন । হিজলীর মসনদ আলিবংশে ইশাখা নামে কাহারও উল্লেখ দেখা যায় না । হোসেন সাহার রাজত্ব কালে ১৫০৫ খৃঃ অব্দে তাজখা মসনদ আলি ও তাহার ভ্রাতা সেকেন্দর পালোয়ান হিজলী অধিকার করেন। ১৫৫৫ খৃঃ অব পর্য্যস্ত হিজলী তাজ খার অধিকারে থাকে। ঐ সময়ে বাদসাহী সৈন্ত র্তাহার বিরুদ্ধে অগ্রসর হটলে তাজ খা, হয় নিজে সমাধিগর্ভে প্রবেশ করিয়াছিলেন, না হয় জলমগ্ন হুইয়া প্রাণত্যাগ করেন। তাহার পুত্র বাহাদুর র্থ আক্রমণকারীদের সহিত সন্ধি করিয়া ১৫৫৭ খৃঃ অব্দে হিজলীর অধিকার নিষ্কণ্টক করিয়া লন । কিন্তু মসনদ আলির জামাতা জাইল খা বাহাদুরের নামে অভিযোগ উপস্থাপিত করায় বাহাদুরকে বন্দী হইতে হয়, ও জাইল ১৫৬৪ হইতে ১৫৭৪ খৃঃ অব পর্যন্ত হিজলীর অধিকারী রূপে অবস্থিতি করেন। তাহার পর বাহাদুর স্বাধীনতা লাভ করিয়া ১৫৮৪ খৃঃ অব পৰ্য্যস্ত হিজলীর অধিকার, ভোগ করিয়াছিলেন। ইহার পর হিজলী তাহার দেওয়ান ও সরকার দুইজন হিন্দুর মধ্যে জালামুঠ ও মাজনামুঠ রূপে খাজ৷ ইশার্থ লোহানী ।