পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৭ রায় উভয়কেই সমান ক্ষমতাশালী বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন, এবং ইশা খ। মসনদ আলিকে সকলের শ্রেষ্ঠ বালয়ছেন । ইশা খাঁ ও কেদার রায়ের সহিত মানসিংহেরই যুদ্ধ হইয়াছিল, এবং তাহারা মানসিংহ কর্তৃকই বিজিত হইয়াছিলেন । মুসল্মান ঐতিহাসিকগণ ও জেমৃইটগণ তাহাই উল্লেখ করিয়াছেন, এবং কেদার রায়ের সহিত আরাকানরাজের ংঘর্ষের কথাও তাহদের বিবরণে দৃষ্ট হয়। সুতরাং প্রতাপ যে অন্তান্ত ভূ ইয়াদিগকে পরাজিত করিয়া তাহদের রাজ্য অধিকার করিয়াছিলেন, তাহার কোনই মূল নাই। * বিশেষতঃ পাদরীগণ প্রত্যেকের রাজ্য ও রাজধানীর উল্লেখ করিয়াছেন । তাহদের অবস্থিতি কালের মধ্যেই ইশা খাঁ ও কেদার রায়ের মৃত্যু হয়। একজন স্বাভাবিকভাবে, আর এক জন মানসিংহের সৈন্তগণের সহিত যুদ্ধে আহত হইয়া, মৃত্যুমুথে পতিত হন । ফলতঃ প্রতাপের রাজমহল, পাটনা ও অন্তান্ত ভুইয়াদের রাজ্য অধিকারের কোন ঐতিহাসিক ভিত্তি পাওয়া যায় না। বসন্তরায়কে নিহত করিয়া তিনি সমস্ত রাজ্য অধিকার করায় অত্যন্ত ক্ষমতাশালী হইয়া উঠিয়াছিলেন। ইহারই কয়েক বর্য পরে জেসুইট্‌ পাদরীগণ বঙ্গদেশে আগমন করেন, এবং তাহারা প্রতাপকে অত্যন্ত পরাক্রান্ত রাজা ও র্তাহার রাজ্য ভ্রমণ করিতে প্রায় এক মাস লাগিত বলিয়া, উল্লেখ করিয়াছেন। ./ ১৫৯৮ খৃঃ অব্দে নিকোলাস পাইমেণ্ট গোয়ার প্রধান পাদরী ছিলেন। তিনি জেসুইট সম্প্রদায়ভুক্ত। পাইমেণ্ট বঙ্গদেশে ধৰ্ম্মপ্রচারের জন্য ফ্রান্সিস ফার্ণাণ্ডেজ ও ডমিনিক সোসা নামক দুইজন জেসুইট পাদরীকে প্রথমে প্রেরণ করেন । র্তাহার ১৫৯৮ খৃঃ অব্দের ৩রা মে জেসুইটগণের বাঙ্গলায় আগমন । কাচিন হইতে সমুদ্রপথে যাত্রা করিয়া আঠার দিনে ক্ষুদ্রবন্দর বা (৬৭) টিপ্পনী দেখ। S