পাতা:প্রতাপাদিত্য-নিখিল নাথ রায়.djvu/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ురిf8 চ্যাভিকানই বা কোথায় তাহাও নির্দেশ করিতে চেষ্ট করিব। পাদরীগণের লিখিত পত্র গোয়ার প্রধান পাদর নিকলাস পাইমেন্ট স্বীয় মন্তব্যসহ জেসুইটগণের প্রধান অধ্যক্ষ ক্লাউডি একোয়াভিয়নের নিকট প্রেরণ করেন, পরে তাহা প্রকাশিত হয় । ইহা অবলম্বন করিয়া ডুজারিক নামক ফরাসী ঐতিহাসিক ও সামুয়েল পাশা নামক ইংরেজ লেখক বাঙ্গলার যে বিবয়ণ প্রদান করিয়াছেন, তাহ হইতে জানা যায় যে, প্লাদরীগণের আগমনের সময় বাঙ্গলায় বার জন ভুইয়া ছিলেন। তন্মধ্যে তিন জন হিন্দু ও নয় জন মুসন্মান। হিন্দু তিন জন শ্ৰীপুর, বাকলা ও চ্যাণ্ডিকানের অধীশ্বর । কেদাররায় শ্রীপুরের ও রামচন্দ্র রায় বাকলার অধিপতি ছিলেন, ইহাতে সন্দেহ নাই। সেই সময়ে র্তাহাদের সমকক্ষ আর এক হিন্দু ভুইয়া যে প্রতাপাদিত্য, তাহা নানা প্রমাণের দ্বারা স্থির হয়। সুতরাং চ্যাণ্ডিকানাধিপতিই যে প্রতাপাদিত্য তাহ অনায়াসে বুঝা যাইতেছে। ইহার পর তৎসম্বন্ধে আরও সুস্পষ্ট প্রমাণ আছে, আমরা তাহার উল্লেখ করিতেছি। যে সময়ে পাদরী ফনসেকা বাকলার উপুস্থিত হইয়া রামচন্দ্র রায়ের সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছিলেন, সেই সময়ে রামচন্দ্র তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করেন যে, আপনার এখান হইতে কোথায় যাইবেন । ফনসেক তাহাতে উত্তর দিয়াছিলেন যে, আমরা আপনার ভাবী শ্বশুর চ্যাণ্ডিকানাধিপতিয় নিকট যাইতেছি । রামচন্দ্র রায় যে প্রতাপাদিত্যের কন্ত বিন্দুমতীর পাণিগ্রহণ করিয়াছিলেন, ইহা সকলেই অবগত আছেন, সুতরাং তাহার শ্বশুয় যে প্রতাপদ্বিত্য তাহাও প্রমাণিত হইতেছে। এতদ্ভিন্ন আমরা আরও একটি বিশিষ্ট প্রমাণ দিতেছি। পাদরীগণের বর্ণনায় লিথিত আছে যে, সুপ্রসিদ্ধ পটুগীজ সেনাপতি কার্ভালো কেদার রায়ের নিকট হইতে চ্যাণ্ডিকানে গমন করেন। চ্যাণ্ডিকানাধিপতি সে সময়ে যশোরে ছিলেন।